ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) যিনি একসময় ক্রিকেট মাঠে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন, আজকাল তার নজর ঘুরিয়ে দিয়েছেন শিল্পক্ষেত্রের দিকে। সৌরভ বর্তমানে ক্রিকেট দুনিয়ার পাশাপাশি শিল্প নির্মাণেও নিজের ভূমিকা রাখছেন। নিজের পরিবারের ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে শিল্পক্ষেত্রের অনেক খুঁটিনাটি তিনি আয়ত্ত করেছেন, এবং ইদানীং তিনি নিজের ইস্পাত কারখানা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায় হাত দিয়েছেন।
পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন শিল্প বৈঠকে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন সৌরভ, যেখানে তিনি রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের (Sourav Ganguly) ভূমিকায় কাজ করছেন।
এবার, সৌরভকে (Sourav Ganguly) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে সজ্জন জিন্দল গোষ্ঠী ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। এদিন, এই বিদ্যুৎ কারখানার শিলান্যাস অনুষ্ঠানটি হবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সূত্র।
শালবনির এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও মসৃণ ও উন্নত করবে, যা রাজ্যের শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভারতীয় শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল তাঁর সংস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছেন, এবং এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজ্যেও আরও কিছু নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। সজ্জন জিন্দল চলতি বছর বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলায় আরও শিল্প গড়বেন। তারই ফলস্বরূপ, শালবনিতে এই বিদ্যুৎ কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) সজ্জন জিন্দলের কাছ থেকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং তিনি এতে অংশগ্রহণ করবেন। সৌরভ এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, এবং সোমবার (২১ এপ্রিল) তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শালবনির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শালবনির উদ্দেশে রওনা দেবেন, এবং দুপুরের দিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Sourav Ganguly) সেখানে পৌঁছাতে দেখা যাবে। শিলান্যাস অনুষ্ঠান শেষে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ বিমানে কলকাতা ফিরে আসবেন, এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এই নতুন বিদ্যুৎ কারখানার নির্মাণ কাজ শুরুর পর, এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। রাজ্যের শিল্প পরিবেশের উন্নতির জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো পরিচিত ব্যক্তির উপস্থিতি এই ধরনের অনুষ্ঠানে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি বাংলার শিল্পের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জিন্দল গোষ্ঠী অনেক কারখানা স্থাপন করেছে, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। শালবনির বিদ্যুৎ কারখানাটি এই প্রচেষ্টার আরও একটি উদাহরণ হতে চলেছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) শিল্পে বিনিয়োগ এবং এর মাধ্যমে তিনি যে ব্যবসায়ী মানসিকতার প্রমাণ দিয়েছেন, তা নতুন প্রজন্মের জন্য একটি বড় উদাহরণ। তার মতো ব্যক্তিত্ব যখন শিল্প প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন, তখন তা রাজ্যের জন্য বড় ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়। রাজ্যের রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক অঙ্গনে তার ভূমিকা যে আরও বাড়বে, তা নিশ্চিত।
এছাড়া, সৌরভের (Sourav Ganguly) এই উদ্যোগ রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির সঙ্গে মিলে শিল্পায়নের পথ সুগম করবে, যা রাজ্যের সামগ্রিক উন্নতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি, এবং নতুন কারখানা স্থাপনের প্রক্রিয়া রাজ্যের অর্থনীতি ও জনগণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এভাবে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতি এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।