কলকাতা ও গোটা দক্ষিণবঙ্গ (weather update) জুড়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়েও বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপট অব্যাহত। শনিবার সকাল থেকেই শহরের আকাশ ছিল মেঘলা। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। যদিও তাপমাত্রায় (weather update) বিশেষ হেরফের হয়নি, কিন্তু বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে গরমে অস্বস্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে বিকেলের পরে শহরের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় খানিকটা স্বস্তি মেলে।
আজ, রবিবারও (weather update) (২০ এপ্রিল) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে আজ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির (weather update) সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও শুক্রবার ও শনিবারের তুলনায় আজ ঝড়ের দাপট কিছুটা কম থাকবে বলেই পূর্বাভাস।
এছাড়াও, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সোমবার পর্যন্ত ঝোড়ো (weather update) হাওয়ার সতর্কতা জারি রয়েছে। ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে উপকূলে, আর দমকা হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। সেই কারণে সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের রবিবার ও সোমবার সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া (weather update) দফতর।
উত্তরবঙ্গের (weather update) জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রকোপ আরও তীব্র। আজ দার্জিলিং জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বজ্রপাত এবং দমকা হাওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আলিপুর দফতরের (weather update) বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আজ টানা ঝড়বৃষ্টি চলবে।
আবহাওয়া দফতরের (weather update) মতে, বর্তমানে পাঞ্জাব, অসম, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর বাংলাদেশের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ড থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এই দুটি মিলেই রাজ্যে বৃষ্টিপাতের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে উঠবে এবং তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (weather update) ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.২ ডিগ্রি। দক্ষিণবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কলায়কুণ্ডায় — ৩৩.৬ ডিগ্রি, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কল্যাণীতে — ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই মুহূর্তে রাজ্যে যে বৃষ্টি ও ঝড়ের (weather update) পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা মূলত ঋতু পরিবর্তনের একটি সাধারণ প্রভাব হলেও, ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার উপস্থিতির কারণে তা কিছুটা বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবুও, এই প্রাক-বঙ্গাব্দ বর্ষার বৃষ্টিপাত কৃষির জন্য যেমন ইতিবাচক, তেমনই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় সাময়িক কিছু অসুবিধাও বয়ে আনছে। তাই আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত সতর্কতা মেনেই চলতে হবে সাধারণ মানুষকে।