শনিবার ভোররাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদ এলাকায় একটি চারতলা বহুতল ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও আরও ১২ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। (Building Collapse in Delhi)
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোররাতে, স্থানীয় সময় ৩টা ২ মিনিটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
উদ্ধারকাজে জোরদার প্রচেষ্টা Building Collapse in Delhi
ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), দমকল বাহিনী এবং দিল্লি পুলিশ। উদ্ধার কাজ চলছে জোরকদমে, তবে মুস্তাফাবাদের সরু গলির জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে পৌঁছাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এনডিআরএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা।
সিসিটিভিতে ধসের মুহূর্ত ধরা পড়েছে Building Collapse in Delhi
এক স্থানীয় বাসিন্দা সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করেছেন, যেখানে শনিবার রাত ২:৩০ নাগাদ বিল্ডিং ধসের সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তটি ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধসের সঙ্গে সঙ্গেই প্রচণ্ড ধুলো আর হাওয়া ছুটে যাচ্ছে গলির মধ্যে।
দিল্লি-এনসিআর জুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা Building Collapse in Delhi
এই ঘটনা ছাড়াও গত সপ্তাহেই দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। একটি ঘটনা ঘটে মধু বিহারে, যেখানে একটি নির্মীয়মাণ ছয়তলা ভবনের দেয়াল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় এক ৬৭ বছর বয়সি ব্যক্তির। অন্য ঘটনায়, করোলবাগে একটি সদ্য নির্মিত ব্যালকনি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরের, যে ঠিক সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।
ধসের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ Building Collapse in Delhi
বহুতল ভবনটি কী কারণে হঠাৎ ধসে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে নির্মাণের ত্রুটি, অতিরিক্ত লোড অথবা পুরনো ভবনের কাঠামোগত দুর্বলতা এই ধসের কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Bharat: A four-storey building collapsed in Mustafabad, northeast Delhi, killing 4 and leaving 12 feared trapped. 14 rescued, NDRF teams on-site. Incident captured on CCTV. Other collapse incidents reported last week in Delhi’s Madhu Vihar and Karol Bagh.