BJP President: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) চলতি মাস অর্থাৎ এপ্রিলের শেষের দিকে নতুন দলীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে। জানা গিয়েছে যে এই পদক্ষেপের পরেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ এবং রদবদল হতে পারে। উল্লেখ্য, গত দু’দিন ধরে নিজের উত্তরসূরি খুঁজতে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন বর্তমান বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল যেমন এনসিপি, শিবসেনা এবং বিহারের মিত্রদের নতুন মুখদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
বিজেপি সভাপতি পদের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী
পরবর্তী বিজেপি সভাপতি নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং ভূপেন্দ্র যাদবের নাম আলোচনায় রয়েছে। জানা গিয়েছে আগামী সপ্তাহের কোনও এক সময় এই বিষয়ে আরএসএসের মতামত জানতে চাইবে বিজেপি। এই সপ্তাহের মধ্যেই বিজেপি তার রাজ্য ইউনিটগুলির পুনর্গঠন সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণার আগে দল ৪-৫ জন নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে।
নতুন বিজেপি সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য আগামী সপ্তাহে নোটিফিকেশন জারি করতে পারে বিজেপি। নোটিফিকেশন জারির পর শুরু হবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এরপর বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে যদি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রত্যাশিতভাবে, পরবর্তী বিজেপি প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন, তবে এটি মন্ত্রিসভায় আরেকটি শূন্যস্থান তৈরি করবে, যার ফলে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ বা রদবদলের প্রয়োজন হবে।
আগামী ২১ শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর এপ্রিল ২২-২৩ সৌদি আরব সফরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ভারতে ফেরার পরই শুরু হবে বিজেপি সভাপতির নির্বাচন প্রক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকের ঝড় উঠেছে, পরবর্তী বিজেপি প্রধান, ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম এবং রাজ্য সরকারগুলির বিল ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশিত সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়ে আলোচনা চলছে, যার বিরুদ্ধে সরকার পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরিকল্পনা করছে।