ওয়াশিংটন: ফের চমক! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক দাবি করলেন, যা ঘিরে ইতিমধ্যেই আলোড়ন শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক মহলে। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন— “শুল্ক (Tariffs) থেকে এত রাজস্ব আসতে পারে, যে আমেরিকায় আর আয়করের দরকারই পড়বে না!” ট্রাম্প বলেন, “এর একটা রিয়েল চান্স আছে। আমেরিকা এত টাকার শুল্ক পায়, তাতে আয়কর তুলে দেওয়া যায় সহজেই।”
ইতিহাস টেনে ট্রাম্পের যুক্তি- Donald Trump tariff revenue
প্রেসিডেন্ট জানান, ১৮৭০ থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে আমেরিকার প্রধান রেভিনিউ সোর্স ছিল শুল্ক। সেই সময় দেশ ছিল “দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী”। এমনকি ১৮৮০-র দশকে সরকার ‘অতিরিক্ত টাকার কী করবে’ সেটা ভাবতে কমিটি বানিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘মহামন্দা আর শুল্ক’? ভুল ব্যাখ্যা বললেন ট্রাম্প Donald Trump tariff revenue
সমালোচকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, শুল্ক নীতিই ১৯৩০-এর দশকে মার্কিন অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেয়। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, “মন্দা শুরু হয়েছিল তার আগেই। শুল্ক তার পরে এসেছে।” তিনি আরও বলেন, তাঁর আমলে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আসছিল শুল্ক থেকে। “আমরা এত আগে কোনওদিন টাকাই পাইনি।”
অপরাধীদের জন্য এল সালভাদরের ‘জেল মডেল’? Donald Trump tariff revenue
অর্থনীতির পাশাপাশি, ট্রাম্প এই সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট বুকেলের নিরাপত্তা নীতি দেখে মুগ্ধ। তাঁর কথায়, “ওদের বিশাল জেলখানা, শক্ত হাতে অপরাধ দমন—দারুণ কাজ করেছে। আমরাও চাই সেই ধাঁচে আমাদের হিংস্র অপরাধীদের বাইরে পাঠিয়ে দিই।” এমনকি, মার্কিন ‘ঘরোয়া’ অপরাধীদেরও ওই ধরনের কারাগারে পাঠানো যায় কি না, তা নিয়েও তিনি ইঙ্গিত দেন।
শুল্কে বিরতি, চিনের উপর তীব্র চাপ Donald Trump tariff revenue
এই বিতর্কিত মন্তব্যের মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, বিশ্বের বহু দেশের উপর আগে চাপানো শুল্কে ৯০ দিনের বিরতি দেওয়া হচ্ছে। তবে চিনের বেলায় ছাড় নেই—চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত! প্রশাসনের দাবি, এই শুল্ক নীতি থেকেই দেশের ব্যবসা রক্ষা ও বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যাবে। তবে অর্থনৈতিক বাজারে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে অস্থিরতা—বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ মন্দা ডেকে আনতে পারে।
World: Donald Trump claims US tariffs could replace income tax, sparking economic debate. He highlights historical revenue sources and praises El Salvador’s crime policies. Critics question his stance on tariffs and economic history.