US Company Fires 200 Indian Employees Over Salary Scandal
আমেরিকার (us company) বৃহত্তম মর্টগেজ কোম্পানি ফেডারেল ন্যাশনাল মর্টগেজ অ্যাসোসিয়েশন, যা সাধারণত ফ্যানি মে নামে পরিচিত, সম্প্রতি ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে, যাদের অধিকাংশই তেলুগু সম্প্রদায়ের, “নৈতিক লঙ্ঘনের” অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভারতীয়-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান সুহাস সুব্রামণ্যম এই গণবরখাস্তের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন এবং ফ্যানি মে-এর কাছে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরখাস্ত হওয়া ২০০ কর্মীর অধিকাংশই তেলুগু ভাষাভাষী, যারা প্রধানত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যের বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মীরা ফ্যানি মে-এর “ম্যাচিং গ্রান্টস প্রোগ্রাম”-এর অপব্যবহার করেছেন।
এই প্রোগ্রামটি কর্মীদের দানের পরিমাণের সঙ্গে সমান অর্থ কোম্পানি থেকে দান করার একটি ব্যবস্থা, যা দাতব্য কাজে উৎসাহিত করার জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে, অভিযোগ উঠেছে যে কিছু কর্মী আমেরিকার (us company) তেলুগু সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত অলাভজনক সংগঠনগুলোর সঙ্গে মিলে এই প্রোগ্রামের তহবিলের অপব্যবহার করেছেন।
‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ বাতিল কি বাস্তবসম্মত? কেন্দ্রকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (us company)
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের (us company) মধ্যে একজন তেলুগু অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকা (টানা)-এর আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এবং আরেকজন আমেরিকান তেলুগু অ্যাসোসিয়েশন (এটিএ)-এর একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। সূত্রের খবর, টানা একমাত্র সংগঠন নয় যারা এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত; অন্যান্য সংগঠনও তদন্তের আওতায় রয়েছে। ফ্যানি মে-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, এই ছাঁটাইগুলো ৯ ও ১০ এপ্রিল “নৈতিক ভিত্তিতে” সম্পন্ন হয়েছে।
এই ঘটনার পটভূমিতে উল্লেখযোগ্য যে, এ বছরের জানুয়ারিতে অ্যাপল তার কুপারটিনো সদর দপ্তরে প্রায় ৫০ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল, যাদের মধ্যে কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা আর্থিক জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ফ্যানি মে-এর এই সাম্প্রতিক ঘটনা সেই ধারাবাহিকতারই একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে কর্পোরেট তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে ভারতীয়-আমেরিকান কর্মীদের লক্ষ্য করা হচ্ছে।
সুহাস সুব্রামণ্যম ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছেন
ভারতীয়-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান সুহাস সুব্রামণ্যম, যিনি ভার্জিনিয়ার ১০ নম্বর কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের প্রতিনিধিত্ব করেন, এই গণবরখাস্তের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি ৯ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকার ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের শতাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে ফ্যানি মে জালিয়াতির অভিযোগ এনে তাদের বরখাস্ত করেছে, কিন্তু এই অভিযোগের পক্ষে কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বা প্রমাণ দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি, এবং তারা ন্যায্য প্রক্রিয়ার অধিকারী। ফ্যানি মে-এর (us company) উচিত তাদের, কংগ্রেস এবং আমেরিকান জনগণের কাছে অবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া।”
বরখাস্তের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দাবি
সুব্রামণ্যম ফ্যানি মে-এর নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই বরখাস্তের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দাবি করেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, এই অভিযোগগুলোর তদন্ত কীভাবে করা হয়েছে, কর্মীদের কি স্পষ্টীকরণ বা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এবং এই বরখাস্তের জন্য কি শুধুমাত্র ভারতীয়-আমেরিকান সংগঠনগুলোতে দান করার বিষয়টিকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি ফ্যানি মে-এর কাছে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছেন।
ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ
এই ঘটনা ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকে মনে করছেন, এই বরখাস্তের ঘটনায় বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। কিছু বরখাস্ত কর্মী দাবি করেছেন, তারা প্রশ্নবিদ্ধ সংগঠনগুলোতে কোনো দানই করেননি, তবুও তাদের চাকরি হারাতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রদায়ের নেতারা কর্পোরেট নীতি সম্পর্কে আরও সচেতনতা এবং অলাভজনক সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, ফ্যানি মে-এর এই পদক্ষেপ আমেরিকার কর্পোরেট জগতে নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার বিষয়টিকে নতুনভাবে আলোচনায় এনেছে। একই ধরনের অভিযোগে জানুয়ারিতে অ্যাপলের বরখাস্তের ঘটনার পর এই ঘটনা ভারতীয়-আমেরিকান কর্মীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে। তদন্ত এখনও চলমান, এবং এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।