ফিরেছে নেট, কিন্তু স্বস্তি নয়! মুর্শিদাবাদের রাস্তায় এখনও টানটান চাপ

মুর্শিদাবাদ: নববর্ষের পর মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দোকানপাট খুলে গেছে, বাজার বসেছে, এবং রাস্তায় মানুষের চলাচলও বাড়ছে। তবে অশান্তির প্রভাব এখনো স্পষ্ট—কিছু…

Murshidabad Waqf law protests 

মুর্শিদাবাদ: নববর্ষের পর মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দোকানপাট খুলে গেছে, বাজার বসেছে, এবং রাস্তায় মানুষের চলাচলও বাড়ছে। তবে অশান্তির প্রভাব এখনো স্পষ্ট—কিছু এলাকায় পোড়ো বাড়ি এবং ভাঙা মন্দিরের চিহ্ন রয়েছে। (Murshidabad Waqf law protests)

Advertisements

অশান্তির জেরে বন্ধ হয়েছিল ইন্টারনেট Murshidabad Waqf law protests

গত ৯ এপ্রিল থেকে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় শুরু হওয়া অশান্তির কারণে কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। বিশেষ করে, জঙ্গিপুর সাব ডিভিশনের বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, সামশেরগঞ্জে এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।

   

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদে এখনও ১৬৩ ধারা বলবৎ রয়েছে এবং আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে, গতকাল ধুলিয়ানে তৃণমূলের পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দাদার দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজন করবেন। এই সম্মেলনটি কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম সোশাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

Advertisements

তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে Murshidabad Waqf law protests 

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে উত্তেজনা চলছে, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলার বেশ কিছু এলাকা। আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ার কারণে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, আইনটি নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মেলনটি এই ক্ষোভের নিরসন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।