Netra Mk II AWACS: ভারত ক্রমাগত তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করছে। এর জন্য কেবল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিই করা হচ্ছে না, বিমানগুলিকেও উন্নত রাডার সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতীয় বায়ুসেনা শীঘ্রই ‘নেত্র এমকে ২’ (Netra Mk II) এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (AWACS) দিয়ে সজ্জিত হবে।
যা আকাশ থেকেই শত্রুর কার্যকলাপ সনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এই প্রকল্পটি DRDO এবং Airbus-এর সহযোগিতায় করা হচ্ছে, যেখানে পুরনো Air India A321 বিমানগুলিকে উচ্চ-প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হবে। ফ্রান্স বা স্পেনের এই বিমানগুলিতে এয়ারবাস রাডার এবং সেন্সর যুক্ত করবে। যদি সবকিছু সময়মতো হয়, তাহলে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ২০২৯ সালে শুরু হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ভারতীয় বায়ুসেনাতে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পটি ভারতের প্রতিরক্ষা স্বনির্ভরতার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
এয়ারবাসকে নেত্র এমকে II তে রূপান্তরিত করা হবে
ভারতীয় বায়ুসেনা ৬টি পুরনো এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারবাস A321 বিমানকে Netra Mk 2 AWACS প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রকল্পটি ডিআরডিও এবং এয়ারবাসের সাথে অংশীদারিত্বে তৈরি করা হবে এবং ভারতের স্বদেশী সামরিক সক্ষমতা আরও জোরদার করবে। এই বিমানগুলিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে আনা হয়েছে।
এই প্রকল্পটি ডিআরডিও এবং এয়ারবাসের সাথে অংশীদারিত্বে নির্মিত হবে এবং ভারতের স্বদেশীদের দ্বারা এটি তৈরি করা হবে। সামরিক সক্ষমতা আরও জোরদার করবে। এই বিমানগুলিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে আনা হয়েছে।
নেত্র এমকে ২ এর বিশেষত্ব কী হবে?
নেত্রা এমকে২ গ্যালিয়াম নাইট্রাইড (GaN)-ভিত্তিক AESA রাডার দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যা দীর্ঘ পরিসরেও ছোট লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এতে ইলেকট্রনিক সাপোর্ট মেজারস (ESM), রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার (RWR) এবং কাউন্টার মেজার ডিসপেন্সিং সিস্টেম (CMDS)ও থাকবে।
এর সামনের এবং পাশের প্যানেল রাডারগুলি একসাথে প্রায় 300 ডিগ্রি কভারেজ প্রদান করবে, যা আগের 240 ডিগ্রির তুলনায় একটি বড় উন্নতি। এই সিস্টেমটি আকাশ ও সমুদ্র উভয় স্থানেই শত্রুর উপস্থিতি সনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
ভারী রাডার এবং সেন্সর দিয়ে সজ্জিত থাকবে
A321 বিমানটি ভারী রাডার এবং সেন্সর পরিচালনা করার জন্য ডিজাইন করা হবে। এর জন্য, এয়ারফ্রেমকে শক্তিশালী করা হবে এবং একটি অক্সিলারি পাওয়ার ইউনিট (APU) স্থাপন করা হবে যা বিদ্যুৎ-ক্ষুধার্ত রাডারকে সমর্থন করবে।
অতিরিক্তভাবে, মিশন অপারেটর কনসোলে শব্দ বাতিলকরণ, নিরাপদ যোগাযোগের জন্য LOS এবং SATCOM লিঙ্ক এবং সামরিক-গ্রেড যন্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সমস্ত সিস্টেম এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ বায়ুবাহিত কমান্ড সেন্টারে পরিণত করবে।
এটি ২০২৯ সালে প্রস্তুত হবে
২০২৫ সালের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হলে, প্রথম বিমানটি ২০২৭ সালের মধ্যে ডিআরডিও-তে হস্তান্তর করা হতে পারে। তাই এর পরে দেশীয় রাডার এবং সিস্টেমের একীকরণ করা হবে। ২০২৯ সালে উন্নয়নমূলক পরীক্ষা শুরু হবে।
যেখানে এর সমস্ত ক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে, যেমন শত্রু বিমান ধরা, নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কাজ করা। রিপোর্ট অনুসারে, এটি ২০৩০ সালের মধ্যে আইএএফ-এ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি এই প্রকল্পটি সফল হয়, তাহলে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।