পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে ছিল। জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
মঙ্গলবার জঙ্গিপুর (Murshidabad) শহরের আশেপাশে এবং রঘুনাথগঞ্জ, সুতির থানার এলাকায় বিক্ষোভকারীরা বৃহত্তর আইনটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জমায়েত হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের দাবি তুলেছিল। ওই সময়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং এলাকায় ব্যাপক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এছাড়া, জঙ্গিপুর (Murshidabad) সাবডিভিশন এলাকার অধীনে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ রাখার মূল উদ্দেশ্য ছিল, কোনো ধরনের গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা। তবে, এই সিদ্ধান্তটি আসন্ন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
জেলা (Murshidabad) পুলিশের কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি। রঘুনাথগঞ্জ এবং সুতির এলাকায় নিষেধাজ্ঞা আদেশ অব্যাহত থাকবে এবং আগামী ১০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। ইন্টারনেট সেবা স্থগিত থাকবে ১১ এপ্রিল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জেলায় একাধিক অঞ্চলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট এলাকাতে আরো পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, বিশেষ করে জঙ্গিপুর শহরের আশেপাশে। শহরটি ছিল প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল, যেখানে আন্দোলনকারীরা বৃহত্তর ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন।
এদিকে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার পরিস্থিতি শান্ত হলেও, প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের শিথিলতা দেখা যায়নি। তারা জেলার বিভিন্ন sensitive এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রেখেছে এবং পরিস্থিতি যাতে পুনরায় উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে, সে জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত, মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার পাশাপাশি, প্রশাসন ও পুলিশ নিরলসভাবে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবে, পুরো পরিস্থিতির ওপর আরও নজর রাখা হবে এবং জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশনা পালন করা হবে।
এমনকি, পরবর্তী সময়ে যদি কোনো ধরনের উত্তেজনা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তবে প্রশাসন তা দ্রুতভাবে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।