রাজ্যপালের বিল আটকে রাখার ক্ষমতা নেই, শীর্ষ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায়

রাজ্যপালের ক্ষমতা এবং তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন তা রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি…

Supreme Court Declares Governor's Delay in Approving Tamil Nadu Bills 'Illegal

রাজ্যপালের ক্ষমতা এবং তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন তা রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্যপালের (Supreme Court) ক্ষমতা এবং তার কার্যক্রম সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেওয়া হয়েছে, যা রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের এক নতুন দিক উন্মোচন করে।

এই মামলার প্রেক্ষাপট হলো, তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছিল যে, রাজ্যপাল আর এন রবি, বিধানসভায় (Supreme Court) পাশ হওয়া ১০টি বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছেন। এই বিলগুলির পুনরায় পাঠানো হলেও রাজ্যপাল কোনো ধরনের অনুমোদন দেননি। এর ফলে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে আদালতে আবেদন করে এবং আদালতে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল (Supreme Court) তাঁর ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে একটি ঐতিহাসিক রায় দেয়। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, রাজ্যপাল তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করতে পারেন না। বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেভান এই রায়ে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল কখনোই বিলে দেরি করতে পারেন না। যেহেতু সেই বিলগুলি পুনরায় বিধানসভায় (Supreme Court) পাশ হয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তাঁর উচিত ছিল সেগুলির অনুমোদন দেওয়া।’’

এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) রাজ্যপালকে তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেয়। আদালত আরও জানায়, রাজ্যপালকে (Supreme Court) তার কাজের ক্ষেত্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে। তিনি রাজনীতিকের ভূমিকায় না থেকে, বরং রাজ্যের মঙ্গল এবং ঐক্য রক্ষায় কাজ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রাজ্যপালের ভূমিকা হবে সংবিধানসম্মত, যাতে তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব না দেখান।

বিজ্ঞাপন নয়, রাজ্যপালের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে রাজ্যের উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। রাজ্যপাল যদি সরকারের কাজের প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়ান, তা হলে তা তার শপথভঙ্গের মতো হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ রাজ্যপাল (Supreme Court) এবং রাজ্য সরকারের সম্পর্কের নতুন এক দিক তুলে ধরেছে।

Advertisements

রাজ্য-রাজ্যপাল (Supreme Court) সংঘাতের এই ধরনের পরিস্থিতি শুধু তামিলনাড়ুতেই নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ঘটতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার অভিযোগ তুলেছে যে, রাজ্যপাল নিজেদের রাজনৈতিক দলের স্বার্থে রাজ্য সরকারের কাজ বাধাগ্রস্ত করছেন। এর ফলে কখনও কখনও সংবিধানসম্মত সৃষ্টিকর্ম এবং রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা সঠিকভাবে কার্যকর হতে পারে না।

এই রায়ের ফলে, রাজ্যপালদের (Supreme Court) কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছানো হয়েছে, তা হলো তাদের কাজ হবে শাসকদলের প্রতি পক্ষপাত না রেখে রাজ্যের স্বার্থে কাজ করা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই রাজ্যপালের মূল দায়িত্ব।