INS Trikand: মাঝ সমুদ্রে গভীর বিপদে পড়েন পাকিস্তানি এক মৎসজীবী। আরব সাগরের ওমান উপকূলে যখন চারিপাশে জল ছাড়া আর কেউ বা কিছু নেই, তখন সাড়া দিল ভারতীয় নৌসেনার জওয়ানরা।
গত শুক্রবার বিপদের মুখে পড়েন পাকিস্তানি এক মৎসজীবী। ইরানি ট্রলারে (Al Omeedi) কাজ করছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে ট্রলারের ইঞ্জিন পরিষ্কারের কাজের সময় তার আঙুলে গুরুতর চোট লাগে। বিপদ বুঝে এই ইরানি ট্রলার থেকে যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় নৌসেনার আইএনএস ত্রিকাণ্ডের সঙ্গে (INS Trikand)। সেই সময় ট্রলারটি ছিল প্রায় ৬৪০ কিলোমিটার দূর বা ৩৫০ নৌটিকাল মেইল দূরত্বে।
ভারতীয় নৌসেনার আইএনএস ত্রিকাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান হয় তাদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত। উল্লেখ্য, ওই তরীতে ছিল জখম পাকিস্তানি নাগরিক ছাড়াও আরও ১০ জন পাকিস্তানি। যাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই বালোচ। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় নৌসেনার জওয়ানরা। মাঝসমুদ্রেই যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে আহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক চোটের হদিশ পায় নৌ-জওয়ানরা। জানা গিয়েছে ভেঙে গিয়েছিল বেশ কিছু হাড়ও।
নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, “আহত ক্রু সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য ত্রিকান্ড তাৎক্ষণিকভাবে তার পথ পরিবর্তন করে। এফভি আব্দুল রহমান হানজিয়ার ক্রুতে ১১ জন পাকিস্তানি (৯ জন বালোচ এবং ২ জন সিন্ধি) এবং ৫ জন ইরানি কর্মী ছিলেন। আহত পাকিস্তানি (বালোচ) নাগরিকের একাধিক ফ্র্যাকচার এবং হাতে গুরুতর আঘাত ছিল, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল।”
নৌবাহিনী আরও জানিয়েছে, “এছাড়াও, ইরানে পৌঁছনো পর্যন্ত ক্রুদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য জাহাজটিকে অ্যান্টিবায়োটিক সহ চিকিৎসা সরবরাহ করা হয়েছিল। সমগ্র ক্রু তাদের ক্রু সহকর্মীর জীবন বাঁচাতে সময়োপযোগী সহায়তার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।”
#IndianNavy‘s Mission deployed stealth frigate #INSTrikand provided critical medical assistance to an injured Pakistani (Baloch) crew member aboard the FV Abdul Rehman Hanzia in the mid Arabian Sea.
The ship’s Medical Officer performed intricate surgery at sea for over three… pic.twitter.com/g5yRT9cuXq— SpokespersonNavy (@indiannavy) April 6, 2025