রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী (Sovandeb Chattopadhyay) প্রতিষ্ঠান CESC-এর আওতায় থাকা সমবায় ব্যাঙ্কে ১৭ই এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে, এই নির্বাচনের আগে নানা বিতর্ক এবং অভিযোগের কারণে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০১১ সালের পর দীর্ঘ ১৪ বছর পর এই নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে যে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, তা এখন সবার সামনে।
সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ওই সংস্থারই এক কর্মী, যিনি দাবি করেছেন যে নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।
কর্মীর অভিযোগ, ২০১১ সালের পর থেকে CESC-এর সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট কার্যত থেমে গিয়েছিল। ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার পুরনো বোর্ড ভেঙে নতুনভাবে নমিনেশনের মাধ্যমে ডিরেক্টর নির্বাচন করেন। সেই বোর্ড এখনও চলছে। কিন্তু ১৪ বছর পর এবার ভোটের( Sovandeb Chattopadhyay) আয়োজন করা হচ্ছে, তার আগেই কর্মীর অভিযোগ, নির্বাচনের প্রস্তুতি মোটেও সুষ্ঠু নয়। তার মতে, এখন পর্যন্ত ভোটার লিস্ট প্রস্তুত হয়নি এবং এটি প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, কে ভোট দিতে পারবেন, তা স্পষ্ট নয়। এমনকি, বারবার এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এছাড়া, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মীর দাবি, ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ( Sovandeb Chattopadhyay)ছাড়া কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। এই সময়ে কিছু মাত্র কিছু মনোনয়ন জমা দেওয়া হলেও, তাদের পরে শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
এছাড়া, এক আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ( Sovandeb Chattopadhyay) বিরুদ্ধে। মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২১ সালে CESC-এর পক্ষ থেকে সমবায়ের উন্নতির জন্য ১৮.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে, তার দাবি, এই বিপুল পরিমাণ টাকা চলে গেছে তৃণমূলের ফান্ডে। যার মূল কাণ্ডারি হিসেবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা কথা’। তার দাবি, ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে যাওয়া ইউনিয়নকে মারধরের প্রয়োজন পড়ে না, কারণ তারা একক শক্তিতে এই জয় পেয়েছে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ( Sovandeb Chattopadhyay)তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, এসব কোনো সত্য নয়। তিনি আরও বলেন, যে ইউনিয়ন এত বড় পরিসরে জয় পায়, তাদের বিরুদ্ধে কোনও অশান্তি বা মারপিটের প্রয়োজন নেই। তৃণমূলের শক্তি এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে তারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।
তবে, এই নির্বাচনের আগে তৈরি হওয়া বিতর্ক, অভিযোগ এবং রাজনৈতিক চাপের ফলে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ( Sovandeb Chattopadhyay) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং তার কর্মীদের মধ্যে তৈরি হওয়া এই টানাপোড়েন ভবিষ্যতে আরও গভীর হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হবে, আগামী ১৭ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে কতটা স্বচ্ছতা আনা যায়।