বাজিমাত সুনীলের, আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরু

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ জয়ের স্বপ্ন শেষ এফসি গোয়ার (FC Goa)। টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের সেমিফাইনালে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় লেগে বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিল…

Bengaluru FC to ISL Final

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ জয়ের স্বপ্ন শেষ এফসি গোয়ার (FC Goa)। টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের সেমিফাইনালে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় লেগে বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিল মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। সেই মর্মে রবিবার সন্ধ্যায় গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল ইকের গ্যারেক্সোনার দল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল জেরার্ড জারাগোজার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধান নিয়ে ম্যাচ শেষ করে গোয়া শিবির। এদিন গোল করেন বোরহা হেরেরারা পাশাপাশি আর্মান্দো সাদিকু। যারফলে ফাইনালে ওঠার রাস্তা ক্রমশ মসৃণ হলেও শেষ রক্ষা হল না। ম্যাচের শেষ লগ্নে এসে গোল করে ব্যবধান কমান সুনীল ছেত্রী।

Advertisements

যারফলে ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি এগ্ৰিগেডে গোয়াকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যায় কর্নাটকের এই ফুটবল ক্লাব। তাই গোটা ম্যাচ জুড়ে গোয়ান সমর্থকদের উন্মাদনা বজায় থাকলেও সুনীলের গোলে নিস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা স্টেডিয়াম। পরবর্তীতে আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল না এফসি গোয়ার কাছে। তাই অনবদ্য পারফরম্যান্স করার পরেও টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় থেকে ছিটকে গেল সন্দেশ ঝিঙ্গানদের ফুটবল ক্লাব। গতবারের হতাশা ভুলে এবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগ জয়ের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হলো না ব্রাইসন ফার্নান্দেজদের পক্ষে। এই ধাক্কা কাটিয়ে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই দলের সকল ফুটবলারদের।

   

গত লেগের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর এদিন শুরু থেকেই গোলের মুখ খুলতে বদ্ধপরিকর ছিল মানোলোর ছেলেরা। প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল উদান্তা সিংরা। তা সামাল দিতে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। তবে রাহুল ভেকে থেকে শুরু করে চিংলেসানা সিংদের দক্ষতায় সহজে গোলের মুখ খোলা সম্ভব ছিল না এফসি গোয়ার। যারফলে অমীমাংসিত ফলাফলের শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে সুযোগ বুঝেই একেবারে প্রথম লগ্নে গোল করে যান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা।

Advertisements

তারপর সময় যতই গিয়েছে ততই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে গোয়া শিবির। ৮৮ মিনিটের মাথায় আলবেনিয়ান তারকা আর্মান্দো সাদিকু দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে গেলেও সেটা বজায় থাকল না শেষ পর্যন্ত। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত দুই মিনিটের মাথায় গোল তুলে নেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। যারফলে এগ্ৰিগেডের বিচারে‌ ফাইনালে চলে গেল সুনীল ব্রিগেড।