বঙ্গ ব্রিগেডের সৌজন্যেই বড় সাফল্য বিজেপির

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি (BJP)। চার রাজ্যেই গঠিত হতে চলেছে বিজেপির সরকার। যা আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথকে আরও সহজ করে দিল।…

with the help of bengali workers, bjp got victory

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি (BJP)। চার রাজ্যেই গঠিত হতে চলেছে বিজেপির সরকার। যা আগামী লোকসভা নির্বাচনের পথকে আরও সহজ করে দিল। এই বিপুল সাফল্যের পিছনে রয়েছে বিজেপির বাংলার নেতাকর্মীদের বড় অবদান।

প্রথমেই যার নাম উঠে আসে তিনি হলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভানেত্রী এখন হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। যিনি উত্তরাখণ্ডে পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রচারে গিয়েছিলেন। যার কারণে তাঁকে হুগলীতে দেখা যায়নি। নিজের এলাকায় সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছিল। ভোট মিটতেই হুগলীতে গিয়েছিলেন লকেট। উত্তরাখণ্ডে রেকর্ড জয় পেয়েছে বিজেপি। প্রথমবারের জন্য ওই রাজ্যে টানা দুইবার কোনও দল সরকার গঠন করল। আর সেই দলের নাম বিজেপি।

   

বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের একটা বড় অঙ্গ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বাংলার সেই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম কাণ্ডারী হলেন উজ্জ্বল পারিক। যিনি উত্তরাখণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব সামাল দিচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কাশী এলাকার সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বও ছিল তাঁর কাঁধে। যার বড় প্রভাব পাওয়া গিয়েছে নির্বাচনের ফলাফলে।

অন্যদিকে মণিপুরের মিডিয়ার দায়িত্বে ছিলেন আরও দুই বঙ্গতনয়। যারা পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে সামাল দিয়েছেন। ওই দুই ব্যক্তি হলেন- সপ্তর্ষী চৌধুরী এবং সৌরভ সিকদার। বঙ্গ বিজেপির এই জোড়া হাতিয়ার মনিপুরে কাজ করেছেন দলের জন্য। যাতে এসেছে সাফল্য। মনিপুরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার সময়ে অনেক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল বিজেপির অন্দরে। যা নিয়ে আসরে নামে বিরোধী শিবির। শুরু হয় বিজেপি বিরোধী প্রচার। কিন্তু সেই জটিলতা কাটিয়ে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন সপ্তর্ষী এবং সৌরভ।

গত বছরে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে মুথ থুবড়ে পরে বিজেপি। যার নানাবিধ ব্যাখ্যা রয়েছে মানুষের মাঝে। নিজেদের রাজ্যে সাফল্য না পেলেও অন্যত্র দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন বঙ্গ বিজেপির এই সকল কর্মীরা।