ফের মমতার বিদেশ সফরসঙ্গী কুণাল, অনুমতি কোর্টের

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পাঁচ লাখ টাকা জমা রেখে বিদেশ সফরের অনুমতি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) । এই সফরটি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের…

Kolkata High Court Grants Kunal Ghosh Permission to Travel Abroad, Requires Submission of 5 Lakh Rupees

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পাঁচ লাখ টাকা জমা রেখে বিদেশ সফরের অনুমতি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) । এই সফরটি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন্ন লন্ডন সফরের সাথে, যেখানে কুণাল তাঁর সাংবাদিকতার কাজের সূত্রে অংশগ্রহণ করবেন। কোর্টের এই সিদ্ধান্ত কুণালের (Kunal Ghosh) জন্য একটি বড় ধরনের বিজয় বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ তার বিরুদ্ধে শর্তসাপেক্ষে বিদেশ যাত্রার অনুমতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আদালতে আবেদন করতে হতো।

সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পাসপোর্ট গত কয়েক বছর ধরে আদালতে জমা রয়েছে এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য তার অনুমতি নিতে তিনি নিয়মিত আদালতের কাছে আবেদন করতেন। ২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ২০১৪ সালে সিবিআই তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল, তবে ২০১৬ সালে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে তিনি আদালতের অনুমতিতে বিদেশে যেতে পারতেন। এই নিয়মের মধ্যে, কুণাল ঘোষকে তার পাসপোর্ট জমা রেখে আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে যেতে হয়।

   

এবারও কুণালের বিদেশ সফরের জন্য আদালতে আবেদন জমা পড়ে। কোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে তার আইনজীবী জানান, কুণাল ঘোষ একজন সংবাদপত্রের কর্মী এবং সে এই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন। এই সফরের জন্য তার খরচও সেই সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। কোর্টও এ ব্যাপারে মন্তব্য করে, “এটি আগে জানানো উচিত ছিল,” তবে শেষমেশ কুণালকে পাঁচ লাখ টাকা জমা রাখার শর্তে বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হয়।

মামলার সূচনা থেকে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে এবং সিবিআইয়ের কাছে বহুবার নানা অভিযোগ উঠেছিল, তবে তিনি বারবার জামিন পেয়ে আসছেন। আদালত তাকে বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়ার সময় শর্ত হিসেবে ওই পাঁচ লাখ টাকা জমা রাখতে বলেছে। এই টাকা আদালতের কাছে রাখা হবে, এবং বিদেশ থেকে ফিরে কুণাল ঘোষ নিশ্চয়ই সেই টাকা ফেরত পাবেন।

এছাড়া, আদালতের বক্তব্য ছিল যে, কুণাল ঘোষের বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী তার আইনজীবীও আদালতকে সমস্ত তথ্য দিয়েছে। কুণাল ঘোষের বিদেশ সফরের বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে এবং সিবিআই বা অন্য কোনো পক্ষের আপত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে।

২০১৩ সালের গ্রেফতারির পর কুণাল ঘোষ দীর্ঘ সময় ধরে সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তের মধ্যে ছিলেন এবং সেই সময় তার রাজনৈতিক ও সাংবাদিক জীবনের উপর অনেক প্রভাব পড়েছিল। তবে আজকের এই বিদেশ সফরের অনুমতি তার জন্য একটি নতুন দিক উন্মোচন করল, যেখানে তিনি আবারও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।