রাজনাথ-গ্যাবার্ড বৈঠকে খলিস্তানি প্রসঙ্গ! মর্কিন গোয়েন্দা প্রধানের কাছে কী আর্জি রাখলেন?

নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক টুলসি গ্যাবার্ডের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ভারতের প্রতি আমেরিকায় নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন “সিখস…

রাজনাথ-গ্যাবার্ড বৈঠকে খলিস্তানি প্রসঙ্গ! মর্কিন গোয়েন্দা প্রধানের কাছে কী আর্জি রাখলেন?

নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক টুলসি গ্যাবার্ডের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ভারতের প্রতি আমেরিকায় নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন “সিখস ফর জাস্টিস” (SFJ)-এর বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং। সূত্রমতে, রাজনাথ সিং গ্যাবার্ডের কাছে SFJ নেতা গুরপতওয়ন্ত সিং পন্নুনের নেতৃত্বাধীন এই সংগঠনকে ঘিরে ভারতের উদ্বেগ তুলে ধরেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ সংক্রান্ত শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এই বৈঠকের গুরুত্ব তখন আরও বেড়ে যায়, যখন ২০২৩ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা ভারতীয় নাগরিক নikhil গুপ্তকে পন্নুন ও আরও এক ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা পন্নুনকে হত্যার একটি ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছে, যা allegedly ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা R&AW-এর এক কর্মী দ্বারা পরিকল্পিত হয়েছিল। অভিযুক্ত ওই কর্মী পন্নুনকে হত্যার জন্য কন্ট্রাক্ট কিলার ভাড়া করার চেষ্টা করেছিলেন, এমনটি বলা হচ্ছে।

   

ভারত এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে উচ্চ-স্তরের তদন্ত শুরু করেছে। পন্নুন, যিনি আমেরিকা ও কানাডার নাগরিক, ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কাঠগড়ায় রয়েছেন এবং তাকে ভারতের অ-আইনগত কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্যাবার্ড রবিবার দিল্লি পৌঁছান এবং দুই দিনের সফরে ভারত এসেছেন। সোমবার তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও তথ্য শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রগুলোতে। রাজনাথ সিং তাঁর টুইটার পেজে জানান, “গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক করে আমি খুশি। আমরা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।”

বৈঠকে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বিশেষ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একীকরণ, উদ্ভাবন এবং সুরক্ষা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রতিরক্ষা শিল্পের সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং উদ্ভাবনকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কৌশল নির্ধারণ করা হয়।

গ্যাবার্ডের ভারত সফরটি মূলত জাপান, থাইল্যান্ড এবং ফ্রান্সের একটি বহুমুখী সফরের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।