আইএসএল ২০২৪-২৫ (ISl 2024-25) মরসুম শেষ হয়েছে এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG) শিল্ড জয় করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু এবারের মরসুমে তরুণ প্রতিভা বিকাশে কোন ক্লাব সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। অনুর্দ্ধ ২৩ (U-23) খেলোয়াড়দের জন্য সর্বাধিক সময় দেওয়া ক্লাবগুলো তাদের যুব উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে, যদিও কিছু দল প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি।
এখানে দেখে নেওয়া যাক, কোন ক্লাবগুলো অনুর্দ্ধ ২৩ খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিয়েছে:
১. কেরালা ব্লাস্টার্স – ৭,৬২১ মিনিট (৮ম স্থান, ২৯ পয়েন্ট)
কেরালা ব্লাস্টার্স এই মরসুমে প্লে-অফের বাইরে থাকলেও, তারা অনুর্দ্ধ ২৩ খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় দিয়েছে। ৭,৬২১ মিনিটের গেমটাইম তাদের তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। মহাম্মদ আইমেন, আজহার, বিপিন এবং কৌরু সিংহের মতো উদীয়মান প্রতিভারা এই মরসুমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
২. পঞ্জাব এফসি – ৭,৫২২ মিনিট (১০ম স্থান, ২৮ পয়েন্ট)
পঞ্জাব এফসি তাদের দ্বিতীয় আইএসএল মরসুমে প্লে-অফে জায়গা করতে পারেনি, তবে তারা অনুর্দ্ধ -২৩ খেলোয়াড়দের জন্য ৭,৫২২ মিনিট সময় দিয়েছে। প্রমবীর সিং, অভিষেক সিং এবং মুহাম্মদ সুহেলদের মতো তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ সময় পেয়েছেন।
৩. হায়দরাবাদ এফসি – ৬,৮১০ মিনিট (১২তম স্থান, ১৮ পয়েন্ট)
হায়দরাবাদ এফসি যদিও এই মরসুমে ১২তম স্থানে ছিল। তারা অনুর্দ্ধ -২৩ খেলোয়াড়দের জন্য ৬,৮১০ মিনিট বরাদ্দ করেছে। তাদের যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি বলার অপেক্ষা রাখে না।
৪. চেন্নাইয়িন এফসি – ৬,২২৫ মিনিট (১১তম স্থান, ২৭ পয়েন্ট)
চেন্নাইয়িন এফসি এই মরসুমে ১১তম স্থান অধিকার করেছে। তারা অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য ৬,২২৫ মিনিট সময় দিয়েছিল। এই দলটি তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে।
৫. ইস্টবেঙ্গল – ৫,৪৩২ মিনিট (৯ম স্থান, ২৮ পয়েন্ট)
ইস্টবেঙ্গল এই মরসুমে ৯ম স্থানে থেকে প্লে-অফের বাইরে ছিল। তারা ৫,৪৩২ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করেছে। এটির মাধ্যমে তারা তাদের যুব প্রতিভার প্রতি বিশ্বাস রাখে।
৬. এফসি গোয়া – ৪,৮২৮ মিনিট (২য় স্থান, ৪৮ পয়েন্ট)
এফসি গোয়া এই মরসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে এবং ৪,৮২৮ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়েছে যা তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিভার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি শক্তিশালী করে।
৭. মহামেডান এসসি – ৪,৪০০ মিনিট (১৩তম স্থান, ১৩ পয়েন্ট)
মহামেডান এসসি তাদের প্রথম আইএসএল মরসুমে খারাপ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে । তবে তারা ৪,৪০০ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করেছে, যা ভবিষ্যতের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক।
৮. ওডিশা এফসি – ৩,৫৫২ মিনিট (৭ম স্থান, ৩৩ পয়েন্ট)
ওডিশা এফসি ৩,৫৫২ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করেছে এবং প্লে-অফের জন্য লড়াই করেছে। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বাদ পড়ে।
৯. মুম্বই সিটি এফসি – ৩,১৭৫ মিনিট (৬ষ্ঠ স্থান, ৩৬ পয়েন্ট
মুম্বই সিটি এফসি এই মরসুমে প্লে-অফে জায়গা পায়। তারা ৩,১৭৫ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য সময় দিয়েছে।
১০. নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ২,৯৯২ মিনিট (৪র্থ স্থান, ৩৮ পয়েন্ট)
নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি সফল মরসুমে কাটিয়ে ৪র্থ স্থানে থেকে প্লে-অফে উঠেছে। তারা ২,৯৯২ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করেছে।
১১. জামশেদপুর এফসি – ২,৭৩৬ মিনিট (৫ম স্থান, ৩৮ পয়েন্ট)
জামশেদপুর এফসি ২,৭৩৬ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য দিয়েছিল। তারা খেলোয়াড়দের সাথে উন্নত পারফরম্যান্স দেখাতে সক্ষম হয়েছিল এবং প্লে-অফে স্থান পেয়েছে।
১২. বেঙ্গালুরু এফসি – ২,২৮২ মিনিট (৩য় স্থান, ৩৮ পয়েন্ট)
বেঙ্গালুরু এফসি ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেয়। তারা মাত্র ২,২৮২ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করে।
১৩. মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট – ১,৮৫৪ মিনিট (১ম স্থান, ৫৬ পয়েন্ট, শিল্ড জয়ী)
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শিল্ড জয়ী হলেও তারা ১,৮৫৪ মিনিট অনুর্দ্ধ-২৩ খেলোয়াড়দের সময় দিয়েছে, যা সব ক্লাবের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এই মরসুমে বিভিন্ন ক্লাব যুব ফুটবলের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় প্রমাণ করেছে। কিছু ক্লাব হয়তো শিরোপা জয়ী হয়নি, তবে তারা নিজেদের তরুণ খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত তৈরি করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ভারতীয় ফুটবলকে আরও উন্নত করবে।