Puri: পুরীর সমুদ্রে নয়া আতঙ্ক, বিপাকে পর্যটকরা, কী এমন ঘটল?

দোলের দিন গভীর সমস্যার সম্মুখীন পুরীর পর্যটকরা। পুরীর সমুদ্রের জলে স্নান করতে নেমে বিপাকে পর্যটকরা। একাধিক পর্যটক নানা ধরণের স্কিনের সমস্যার কথা বলেছেন। মনে করা…

Puri

short-samachar

দোলের দিন গভীর সমস্যার সম্মুখীন পুরীর পর্যটকরা। পুরীর সমুদ্রের জলে স্নান করতে নেমে বিপাকে পর্যটকরা। একাধিক পর্যটক নানা ধরণের স্কিনের সমস্যার কথা বলেছেন। মনে করা হচ্ছে এই সমস্তটাই জেলিফিশ জাতীয় কিছুর কারণে হচ্ছে। শুক্রবার এই কারণে পর্যটক এবং সমুদ্রপ্রেমীরা পুরী সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তারা।

   

দোলের দিন বেশিরভাগ পর্যটক দাবি করেন যে সমুদ্রে মৃত জেলিফিশ ভাসছে। স্নান করতে নামলেই সেগুলো বারবার গায়ে লাগছে। গায়ে লাগলেই দেখা দিচ্ছে চুলকানির মতো সমস্যা। অনেক পর্যটক অভিযোগ জানিয়েছেন যে পুরীর সুমদ্রের পারের কাছেই ভাসছে মৃত জেলিফিশ। এই মৃত জেলিফিশগুলোই স্নানের সময় শরীরের সংস্পর্শে আসছে।

এক পর্যটক জানিয়েছেন, “স্নান করার সময় আমি আমার শরীরে কিছুটা আঠালো পদার্থ অনুভব করি। আঠালো পদার্থটি জেলির মতো, ঘন এবং স্বচ্ছ ছিল। পরে, আমি আমার ত্বকে চুলকানি অনুভূতি অনুভব করি। এটি জেলিফিশের কারণে হতে পারে।”

উপকূলের কাছে হাজার হাজার জেলিফিশ ভাসতে দেখা গিয়েছে যার ফলে উদ্বিগ্ন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। চিন্তিত সৈকত ভ্রমণকারীরাও। পুরীর জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে জেলিফিশ-জনিত আঘাতের সংখ্যা বেড়েছে। জানা যাচ্ছে যে এর বিষাক্ত সামুদ্রিক প্রাণীর সংস্পর্শে এলে রোগীদের মধ্যে তীব্র ব্যথা, চুলকানি, অস্বস্তির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

টিভি চ্যানেলগুলোকে ছত্তিসগড় থেকে আসা এক পর্যটক কৌশলেন্দ্র শুক্লা বলেছেন, “সাঁতার কাটার সময় আমি আমার পায়ে তরল পদার্থ অনুভব করেছি, যা পরে জেলিফিশ বলে জানতে পারি। ব্যথা অসহনীয় ছিল।“

জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে পুরী জেলার রোগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা ডাঃ নারায়ণ প্রসাদ নন্দ জানিয়েছেন, “আমরা এই সপ্তাহে ৫০ জনেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করেছি যাদের ত্বকে চুলকানি এবং হালকা ব্যথার মতো লক্ষণ রয়েছে। তারা তাদের শরীরে জেলির মতো পদার্থ অনুভব করেছেন। আমরা সোমবার ত্বকের নমুনা ICMR-RMRC ভুবনেশ্বরে পাঠানোর পরিকল্পনা করছি। আমরা বর্তমানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।‘

লাইফগার্ড এবং স্থানীয় জেলেরা নিশ্চিত করেছেন যে এই আঠালো পদার্থটি মৃত জেলিফিশ।

পুরীর সমুদ্র সৈকতে জেলিফিশ এই প্রথম নয়। গত বছরের এপ্রিল মাসে, ২০২২ এর জুন এবং ঘূর্ণিঝড় যশের আগে ২০২১ সালের মে মাসে পুরীর সমুদ্রে ভেসে উঠেছিল মৃত জেলিফিশ। জেলিফিশের সংস্পর্শে এলে নানান ধরণের ত্বকের সমস্যা হয় যেমন জ্বালাভাব, চুলকানি এবং এরিথেমেটিক হুইলস। এরিথেমেটিক হুইলস হল ত্বকের লাল ফোলা জায়গা যা চুলকায়। এগুলি আমবাত বা আর্টিকেরিয়া এরও লক্ষণ। জেলিফিশ মারা গেলেও এই প্রক্রিয়াটি ঘটে।