প্রার্থনার সময় পাকিস্তানের মসজিদে আইইডি বিস্ফোরণ! বহু মৃত্যুর আশঙ্কা

ইসলামাবাদ: ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান৷ জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের রেশ কাটতে না কাটতে ঘটল বিস্ফোরণ৷ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওয়াজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।…

short-samachar

ইসলামাবাদ: ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান৷ জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের রেশ কাটতে না কাটতে ঘটল বিস্ফোরণ৷ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওয়াজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ আজম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আব্দুল আজিজ মসজিদে এই আইইডি বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়৷ হামলায় হতাহতের বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত খবর মেলেনি৷ তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

   

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মসজিদে প্রার্থনা চলার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। হামলার পেছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বিস্ফোরণের পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে এবং মসজিদটি খালি করতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর৷ তাঁদের সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, পুরো এলাকা সুরক্ষিত করা হয়েছে৷ বিস্ফোরণের স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। এই ঘটনা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে৷ কারণ গত এক মাসে পাকিস্তানে মসজিদে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে নৌশেরা জেলায় একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে ছ’জন নিহত ও ১৫ জন আহত হন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পেশোয়ারে পুলিশ লাইনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া, গত মঙ্গলবার বালোচিস্তানের বোলান এলাকায় বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে। প্রায় ৩০ ঘণ্টা সেনা অভিযানের পর যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ তবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে বিদ্রোহীদের দাবি। এই দুই ঘটনার পর প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পাকিস্তানের নিরাপত্তা৷