কর্ণাটক হাইকোর্ট শুক্রবার ইয়েদীয়ুরাপ্পার বিরুদ্ধে পোকসো মামলার আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে, এই মামলাটির মাদ্ধমে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদীয়ুরাপ্পা এবং তিনজন অভিযুক্তকে ১৫ মার্চ ট্রায়াল কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই আদেশটি পোকসো আইনের আওতায় একটি মামলার সাথে সম্পর্কিত। হাইকোর্টের বিচারপতি প্রদীপ সিং যেরুর প্যানেল পিটিশনটি শুনানির পর এই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পিটিশনটি ইয়েদীয়ুরাপ্পা নিজেই দায়ের করেছিলেন, যেখানে তিনি ট্রায়াল কোর্টের নতুন সনাক্তকরণের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। বেঞ্চ এই বিষয়ে মন্তব্য করেছে যে, “এটি একটি বিস্তারিত শুনানির বিষয়, এবং অতএব আমরা অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি প্রদান করছি।” বিচারপতি এক্ষেত্রে আরো বলেন, যে মামলার অভিযোগকারী ছিলেন তাকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক সিআইডি ইয়েদীয়ুরাপ্পার বিরুদ্ধে পোকসো আইনে চার্জশিট দাখিল করে, এবং একই দিন বিশেষ আদালত নতুনভাবে মামলাটি গ্রহণ করে। এতে বলা হয় যে, ইয়েদীয়ুরাপ্পাকে আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন এক কিশোরীর মা, যিনি অভিযোগ করেন যে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে ইয়েদীয়ুরাপ্পার বাড়িতে একটি বৈঠকের সময় তার মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, ওই মেয়েটি এবং তার মা এক পুরোনো যৌন নির্যাতন মামলা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাহায্য চাইতে ইয়েদীয়ুরাপ্পার কাছে গিয়েছিলেন। তবে, কিছুদিন পর ওই মায়েটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়, এবং কর্ণাটক রাজ্য মহিলা কমিশন তার মৃত্যুর কারণ এবং শেষকৃত্য নিয়ে তদন্তের দাবি জানায়। এর আগে ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্ট পোকসো মামলাটি খারিজ করতে অস্বীকার করেছিল, তবে ইয়েদীয়ুরাপ্পাকে অগ্রিম জামিন দেওয়া হয়। আদালত এই রায় দেয় যে, মামলাটি গ্রহণের আদেশ বাতিল হলেও অপরাধ, তদন্ত এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট অক্ষুণ্ণ থাকবে।
নতুন হাইকোর্টের আদেশে, ১৫ মার্চের জন্য ইয়েদীয়ুরাপ্পার আদালতে উপস্থিতির নির্দেশ স্থগিত করা হয়েছে, ফলে তিনি সাময়িকভাবে আদালতে হাজির হতে বাধ্য হবেন না। তবে, এই মামলার আইনি লড়াই চলবে এবং পরবর্তী শুনানির জন্য আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মামলাটি পাবলিকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে, কারণ এতে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। পোকসো আইন শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে প্রণীত আইন, এবং এই আইনের আওতায় দায়ের করা মামলাগুলোর ক্ষেত্রে আদালত যথেষ্ট কঠোর হয়। ইয়েদীয়ুরাপ্পার বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক এবং আইনি পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।