‘উৎসবে বাধা দিলে উল্টো করে….!’ সোনাঝুরিতে দোল খেলা বন্ধের প্রতিবাদে বেলাগাম দিলীপ

শান্তিনিকেতন: সোনাঝুরিতে দোলের দিনে রং খেলা এবং বসন্তোৎসব পালনে বনদপ্তরের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সোনাঝুরি হাট সংলগ্ন এলাকায় বহু মানুষের…

Party Is Keeping a Close Eye on the Matter, Says BJP's Shamik Bhattacharya

শান্তিনিকেতন: সোনাঝুরিতে দোলের দিনে রং খেলা এবং বসন্তোৎসব পালনে বনদপ্তরের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সোনাঝুরি হাট সংলগ্ন এলাকায় বহু মানুষের সমাগমের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেই গত রবিবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতিতে জঙ্গলের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

এদিন তোপ দেগে দিলীপ বলেন, “রং খেলাতে আপত্তি কীসের? উৎসবে বাধা দিলে উলটো করে ঝোলানো উচিত।” উত্তরপাড়ায় বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি আরও বলেন, “আমি জানিনা কার মাথায় এটা এসেছে, এই কথা বলার স্পর্ধা কে দেখিয়েছে। আমাদের উৎসবে দূষণ হয়, বাকি দুনিয়াতে আর কোথাও কিছু হয় না। গোটা বীরভূমটা লুট হয়ে গেল, বালি-পাথর-কয়লা। সেখানে পরিবেশ নষ্ট হয় না? হোলি খেললে পরিবেশ নষ্ট হয়, দূষণ হয় প্রথম শুনলাম। যে এটা বলেছে তাঁকে তো উল্টো করে টাঙানো উচিত। আমি গিয়ে টাঙাবো। যাঁরা আমাদের উৎসবে বাধা দেয়। এই ধরনের দুর্যোধনরা কলিযুগে আমাদের সংস্কৃতিকে অপবিত্র করছে। তাঁদের প্রকাশ্যে জুতো মারা উচিত।”

   

তাঁর এই মন্তব্যের পর তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “শান্তিনিকেতনেও দোল উদযাপন করা হচ্ছে। উনি আসলে কোনো খবরই রাখেন না। মেদিনীপুরের খবরটাও তো ঠিক মতো রাখেননি, তাই তো এলাকাবাসী তাঁকে বের করে দিয়েছেন।” তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারও দিলীপ ঘোষকে “জোকার” বলে কটাক্ষ করেছেন।

এদিকে, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, সোনাঝুরিতে রং খেলার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বনদপ্তরের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন করেই শুক্রবার সকালে সোনাঝুরিতে ফের আবির খেলার দৃশ্য দেখা যায়। এই পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে, তবে বনদপ্তরের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সরকারের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য এবং তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং তৃণমূল নেতৃত্ব এই মন্তব্যকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছে।

Advertisements