বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫: কিডনি সুস্থ রাখার ৭টি সহজ উপায়

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে, বিশেষজ্ঞরা কিডনি সুস্থতার উপর মানসিক চাপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন। ১৩ই মার্চ এই দিবসটি উপলক্ষে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। এ বছরের…

World Cancer Day

short-samachar

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে, বিশেষজ্ঞরা কিডনি সুস্থতার উপর মানসিক চাপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন। ১৩ই মার্চ এই দিবসটি উপলক্ষে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। এ বছরের থিম হচ্ছে “আপনার কিডনি কি ঠিক আছে? আগেভাগে চিহ্নিত করুন, কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষা করুন।” কিডনি স্বাস্থ্য শুধুমাত্র শারীরিক ভালোবাসা নয়, এটি মানসিক সুস্থতার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।

   

কিডনি ঠিক রাখার ৭ টি উপায় – 

 ১. প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন

কিডনি সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যাপ্ত জল পান করা। জল কিডনির মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বাইরে বের করে দেয়। দিনে কমপক্ষে ৬-৮ গ্লাস জল পান করা উচিত। এর ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা বজায় থাকে এবং কিডনি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

২. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করুন

কিডনি সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবারের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফল, শাকসবজি, দানা জাতীয় খাবার এবং পূর্ণ শস্য খাবেন। সিল প্রক্রিয়া করা খাবার, লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম যেমন হাঁটা, সাঁতার বা যোগব্যায়াম কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা কিডনির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। 

৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ কিডনির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গভীর শ্বাস প্রশ্বাস, ধ্যান বা যোগব্যায়াম এই চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা কিডনির পাশাপাশি সারা শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

উচ্চ রক্তচাপ কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং এটি স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করুন। লবণ কম খাওয়া, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক ক্রিয়া কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।

৬. অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার করুন

অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান এবং ধূমপান কিডনির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সুতরাং, অ্যালকোহল পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

৭. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন

কিডনির সমস্যা প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাদের জন্য নিয়মিত কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করানো উচিত। এর মাধ্যমে কিডনির যেকোনো সমস্যা আগে থেকেই শনাক্ত করা সম্ভব।

বিশ্ব কিডনি দিবসে আমাদের এই সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক হবে। কিডনি সুস্থ রাখুন, আপনার জীবনকে সুস্থ রাখুন।