বৃহস্পতিবার একটি সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষকে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ মশকুর আলির বিরুদ্ধে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক ছাত্রী ও কিছু কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযুক্তিগত শিক্ষা সচিবের কাছে নালিশ জমা পড়েছিল। এরপর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আলি একাধিক ছাত্রীকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁদের কাছে অশোভন বার্তা পাঠিয়েছেন। অভিযোগের প্রায় এক মাস পর এই গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটল। গত সোমবার প্রযুক্তিগত শিক্ষা সচিবের গঠিত একটি তদন্ত দল কলেজে গিয়েছিল। কিন্তু ছাত্রীরা তদন্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং নতুন তদন্তের দাবি তোলে।
ছাত্রীদের প্রতিবাদের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে। প্রতাপ নগর থানার এসএইচও-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আলিকে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরদিন বুধবার ভুক্তভোগী ছাত্রীরা আদালতে তাঁদের বক্তব্য পেশ করে। এরপর আলিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিসিপি তেজস্বিনী গৌতম ।
পুলিশের মতে, এই ঘটনায় ছাত্রীদের অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তদন্তে আলির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও অশালীন আচরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদালতে ছাত্রীদের জবানবন্দির পর গ্রেপ্তারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এই ঘটনায় কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ছাত্রীরা জানিয়েছে, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই হয়রানির শিকার হচ্ছিল। অভিযোগ জানানোর পরও প্রথমে তেমন পদক্ষেপ না হওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে নামে। পুলিশ এখন পুরো বিষয়টির গভীর তদন্ত করছে।
ডিসিপি তেজস্বিনী গৌতম বলেন, “ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি গ্রহণের পর আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব।” এই ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।