রঙের উৎসবে আকাশে ‘রক্তচাঁদ’! ভারত থেকে দেখা যাবে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ?

কলকাতা: আগামী ১৪ মার্চ, শুক্রবার, গোটা দেশ যখন রঙের উৎসবে মেতে উঠবে, তখন একই দিন ঘটবে ২০২৫ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। এটি একটি বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, যা…

short-samachar

কলকাতা: আগামী ১৪ মার্চ, শুক্রবার, গোটা দেশ যখন রঙের উৎসবে মেতে উঠবে, তখন একই দিন ঘটবে ২০২৫ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। এটি একটি বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, যা সাধারণত ‘রক্তচাঁদ’ নামে পরিচিত। এই গ্রহণের সময় চাঁদ গ্রহণের কবলে গিয়ে রক্তবর্ণ ধারণ করবে, যা এক অনন্য দৃশ্য সৃষ্টি করবে আকাশে।

   

গ্রহণ শুরু হবে সকাল ১১টা ৫৭ মিনিটে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বেলা ১২টা ২৯ মিনিটে। গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে দুপুর ১টা ১ মিনিটে। তবে, এই গ্রহণ ভারতের আকাশে দিনের বেলা হওয়ায়, দেশ থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে না।

চন্দ্রগ্রহণের কারণ

পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য নিজেদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে যখন পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝামাঝি অবস্থানে চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর গিয়ে পড়ে, যার ফলে চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। যদি পৃথিবীর ছায়া পুরোপুরি চাঁদের ওপর পড়ে, তাহলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই সময়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে চাঁদের ওপর এসে পড়ে। সূর্যের নীল ও বেগুনী রঙের আলোক তরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতিফলিত হয়ে চাঁদের গায়ে পৌঁছাতে পারে না, তবে লাল ও কমলার মতো বড় তরঙ্গগুলি চাঁদে গিয়ে পড়ে, ফলে চাঁদ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে।

চাঁদের রক্তবর্ণ হওয়া

গ্রহণের সময় চাঁদের কতটা রক্তবর্ণ হবে, তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মেঘ ও ধুলিকণার পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মেঘ এবং ধুলিকণার পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে চাঁদ আরও লালচে দেখাবে। নাসার মুখ্য বৈজ্ঞানিক রেনে ওয়েবার এই বিরল দৃশ্য দেখতে আকাশে চোখ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যে সব জায়গা থেকে গ্রহণ দেখা যাবে, সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এটি স্থায়ী হবে।”

গ্রহণের দৃশ্য

ভারত থেকে যদিও এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না, তবে যে সব দেশ থেকে এটি দৃশ্যমান হবে, সেখানে মেঘ থাকলেও রক্তবর্ণ চাঁদ দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিরল দৃশ্যটি এক অত্যন্ত আকর্ষণীয় ঘটনা, যা আকাশপ্রেমীদের জন্য এক অমূল্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।