কলকাতা: ভরা বসন্তে তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দোলের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তীব্র গরম পড়বে, বিশেষত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে। এই চার জেলার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলেও তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে।
কলকাতায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে৷ দোলের আগের দিন তা ৩৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির পারদ ছোঁবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এবং বাঁকুড়ার তাপমাত্রাও ৩৫ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। কলাইকুন্ডা, পুরুলিয়া সহ একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির ওপরে চলে গিয়েছে৷
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪-৫ দিনে তাপমাত্রা আরও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে লু বইতে পারে, যার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে পড়তে পারে। এ অবস্থায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া এখনও মনোরম রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, এবং সপ্তাহান্তে সেখানে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যাবে। তবে, উত্তরবঙ্গেও পরবর্তী কয়েকদিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে প্রভাব
তাপপ্রবাহের ফলে জনস্বাস্থ্য এবং কৃষি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, কৃষকদের জন্য এই সময়টিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। জনগণকে অতিরিক্ত গরমে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার এবং প্রচুর জলপান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, শিশু ও বয়স্কদের জন্য তাপদাহের মধ্যে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।