ভবানীপুর বিধানসভার নির্বাচন (TMC Vs BJP) নিয়ে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য। পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসনে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। এমনই একটি হাই প্রোফাইল আসন হচ্ছে ভবানীপুর, যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে (TMC Vs BJP) বসেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘আপনাকে ভবানীপুরে হারাব। আরও পাঁচ বছর হারানোর যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে, যেমন নন্দীগ্রামে হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করছেন।’ শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা, কি তিনি ভবানীপুর থেকে লড়বেন?
এই বিষয় নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি শুভেন্দু বাবু ভবানীপুর থেকে মমতার বিরুদ্ধে লড়তে চান, আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। আমার বিশ্বাস, শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে পরাজিত করতে সক্ষম হবেন।’ এই মন্তব্যের পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।
তবে, শুভেন্দু অধিকারী এখনও স্পষ্টভাবে বলেননি যে তিনি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়বেন কিনা। বিজেপি দল থেকেও এমন কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি। যদিও, ভবানীপুরে কিছুদিন আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শুভেন্দুকে দেখা গিয়েছিল, যা এই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়া, সম্প্রতি হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ওটা আমার জায়গা। ওকে আবার হারাব।’ এর ফলে, তার রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে আরও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু যেখানে আগেও নন্দীগ্রামে মমতাকে পরাজিত করেছিলেন, সেখানে ভবানীপুরে তার লড়াইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে রাজনীতি শীর্ষক আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিজেপির মধ্যে ভবানীপুর আসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা ছিল (TMC Vs BJP) এবং সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য সেই আলোচনা নতুন করে উসকে দিয়েছে। ভবানীপুর একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কেন্দ্র এবং এই আসনটি দখল করতে হলে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তা বলা যায়।
এখন সবার মনোযোগ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী কোথা থেকে লড়বেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দিকে। তবে, বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। রাজনীতিবিদদের মতে, ভবানীপুর কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে শুভেন্দু দাঁড়ালে তা রাজ্যের নির্বাচনী পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, রাজ্য রাজনীতিতে যে আগামী দিনে ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে, তা সবারই অনুমান। রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়বে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।