এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের স্বপ্ন শেষ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal )। বুধবার বিকেলে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে পরাজিত হল মশাল ব্রিগেড। এদিন আরকাদাগের হয়ে জোড়া গোল করেন আলতিমিরাত আন্নাদুরদিয়েভ। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একটি মাত্র গোল করেন রাফায়েল মেসি বাউলি। প্রথমে মেসির করা গোলেই এগিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। কিন্তু সেটা বজায় রাখা সম্ভব হল না শেষ পর্যন্ত। দুইটি লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে পরাজিত হল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
তবে ম্যাচের শুরুটা একেবারেই ছিল অন্যরকম। প্রথম মিনিটের মধ্যেই আক্রমণ শানিয়ে গোল তুলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্যামেরুনের তারকা ফুটবলার রাফায়েল মেসি বাউলির অনবদ্য গোলে সহজেই এগিয়ে গিয়েছিল ভারতের এই ফুটবল ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। কিন্তু সেটা বজায় থাকেনি শেষ অব্দি। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে লাল-হলুদ ফুটবলারদের ঘনঘন আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা চাপে পড়ে গেলেও সেখান থেকে গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি।
একের পর এক গোলের পরিস্থিতি তৈরি হলেও সেগুলি কাজে লাগাতে পারেননি দলের ফুটবলাররা। মেসি বাউলি থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসরা গোলমুখী শট নিলে ও পোস্টে লেগে ফিরে আসে সেগুলি। তবুও সহজে হাল ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল না দলের ফুটবলারদের। তবে ৩৭ মিনিটের মাথায় লালচুংনুঙ্গার লাল কার্ড যথেষ্ট ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল কলকাতার এই ফুটবল দলকে। এত কিছুর পরেও প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সৌভিক চক্রবর্তীরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ানো পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বরং সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে প্রতিপক্ষ ফুটবল দল।
৮৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল তুলে নেয় আরকাদাগ। স্বাভাবিকভাবেই যা প্রভাব ফেলেছিল লাল-হলুদের পারফরম্যান্সে। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৭ মিনিট সময় দেওয়ায় ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে মাঠে নামান অস্কার। আক্রমণের তেজ বাড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রতি আক্রমণে উঠে ব্যবধান বাড়িয়ে যান আন্নাদুরদিয়েভ। যারফলে অনায়াসেই এএফসির স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় মশাল ব্রিগেডের।