ইউক্রেনের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭ মার্চ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ফোনে কথা বলবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও টুইটারে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসন প্রত্যাখ্যান করার পথ সম্পর্কে তাঁকে জানিয়েছি। আমাদের মাটিতে ১ লক্ষেরও বেশি আক্রমণকারী রয়েছে। তারা বাড়িগুলিতে গুলি চালাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। বলেছি, আসুন একসাথে আগ্রাসন বন্ধ করি।”
এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘে ভারত রাশিয়া বা ইউক্রেন কাউকেই সরাসরি সমর্থন করেনি। রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষে বা বিপক্ষে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। বারবার বলেছে ভারতের কাছে অগ্রাধিকার পাবে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপদ সরিয়ে নেওয়া। বরং সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের বৈঠকের দিকে জোর দিয়েছে ভারত। ভারত ৪ মার্চ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি ভোটে বিরত থাকে।
ভারত তার এই অবস্থানের কারণে সমালোচনা যেমন কুড়িয়েছে, তেমনই প্রশংসাও পেয়েছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুসারে, দুই নেতা ইউক্রেনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। বিশেষ করে খারকিভ শহরে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। এবার ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে সেই জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন মোদী।