কেন্দ্রীয় সরকার রেশন কার্ডের সঙ্গে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে সুত্রের খবর অনুযায়ী। রাজ্য সরকারও এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে যা দেশের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম আধুনিকীকরণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেই আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সুবিধাভোগীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা সঞ্চালনে সাহায্য করেছে।
এর আগে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আধারের মাধ্যমে কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্ত ছিল। নতুন প্রস্তাবের আওতায় রাজ্য সরকারগুলি মনে করছে যে, আধারের মাধ্যমে রেশন কার্ডধারীদের ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যার ফলে রেশন বিতরণ আরও সহজ ও দ্রুত হবে।
এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারগুলি পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব করেছে এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য খাদ্য সচিবদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিবের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব ২০১৫ সালের রেশন বিতরণ নীতিমালায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করেছেন, যা এই প্রক্রিয়া নিয়ে নানা জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে এক বড় প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্র কি রেশন সরবরাহের পরিবর্তে সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রেশন মূল্য হিসেবে ভর্তুকি পাঠাতে চাইছে? এর জন্য গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের বিশেষ সচিব কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে নেওয়া যেতে পারে, রেশন কার্ডের সঙ্গে না সংযুক্ত করেও।
রেশন ডিলাররা আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৫, দিল্লিতে বৈঠক করবেন, যেখানে তারা রেশন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করবেন। একটি প্রস্তাব হল, নতুন রেশন কার্ড বিতরণের সময় পরিবারের প্রধানের অনলাইন কেওয়াইসি ফর্ম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার এবং ব্যাঙ্ক তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
বর্তমানে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় প্রতি মাসে ৮১.৩৫ কোটি মানুষকে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল বা গম দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হলে এটি রেশন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করে তুলতে পারে।