কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণকে কেন্দ্র করে বুধবার তুমুল হট্টোগোল বাঁধে বিধানসভায়। তীব্র বাকযুদ্ধের সৃষ্টি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির মধ্যে। বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি নিজে হিন্দু, বিজেপি থেকে কোনও সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’’ তিনি বিজেপির ‘আমদানিকৃত হিন্দু ধর্ম’ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ধর্মের নামে রাজনীতি এবং একে অপরকে সাম্প্রদায়িকভাবে টার্গেট করা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। যারা রমজান মাসে মুসলিমদের লক্ষ্য করে রাজনৈতিক মন্তব্য করেন, তারা আসলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট এবং বাণিজ্যিক পতন থেকে মানুষের নজর সরানো হচ্ছে।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দলের বিরুদ্ধে ‘হিন্দু-বিরোধী’ অভিযোগ তুলেছিলেন৷ তার জবাবে মমতা বলেন, “এটা গণতন্ত্র নয়, কারও কথা না শুনে শুধু চিৎকার করা গণতন্ত্রের অবমাননা।” তিনি বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্প্রতি দেওয়া বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানান, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুসলিম বিধায়কদের রাস্তায় ফেলে দেবে।”
এই মন্তব্যটি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কুণাল ঘোষ একে “ঘৃণাত্মক ভাষণ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে শারীরিকভাবে বের করে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে কেউ শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে, বিধানসভার বাইরের এই বাকযুদ্ধ আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।