কলকাতা: দোল ও হোলির আগে কলকাতা-সহ রাজ্যের বাজারে চিনা আবিরের চোখরাঙানি৷ চোরাপথে পাচারের অভিযোগে তৎপর গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা গিয়েছে, সস্তার এই চিনা আবিরে রয়েছে ক্ষতিকারক উপাদান৷ যা স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও বিপজ্জনক।
দোলের প্রস্তুতি শুরু হতেই কলকাতা ও এর আশপাশের বাজারে রং ও আবির বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। বড়বাজার ও অন্যান্য বাজারের দোকানগুলিতে আবিরের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, কিছু ব্যবসায়ী সস্তা চিনা আবির চোরাপথে আমদানি করে বিক্রি করছেন, যা মানের দিক দিয়ে উদ্বেগজনক।
চিন থেকে পাচার, উত্তরবঙ্গ হয়ে কলকাতা
গোয়েন্দারা জানান, এই আবির মূলত নেপাল হয়ে ভারতের উত্তরবঙ্গ এবং বিহার হয়ে কলকাতায় পৌঁছায়। এখান থেকে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। কিছু ব্যবসায়ী বড়বাজারে চিন থেকে আসা এই সস্তা আবির সংগ্রহ করেন এবং তাদের গোডাউনে মজুত করেন। তবে, এই আবিরের দাম দেশীয় আবিরের তুলনায় অনেক কম—কিলো প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, যেখানে দেশীয় আবিরের দাম প্রায় ৬০ থেকে ১২০ টাকা।
খারাপ মানের উপাদান
গোয়েন্দাদের অভিযোগ, এই সস্তা চিনা আবিরে মিশানো হয় নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, যেমন সীসা, পারদ, সিন্থেটিক রং এবং ট্যালকম পাউডার। বিশেষ করে লাল, গোলাপি এবং নীল রঙের আবিরে এই উপাদানগুলি থাকে, যা ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের আবির সাধারণত ছোট প্যাকেটে বিক্রি করা হয় না। বড় বস্তায় মজুত করা হলে, এগুলোর পরীক্ষাগারের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করা হতে পারে।
গোয়েন্দাদের নজরদারি
বাজারে এই চিনা আবিরের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বড়বাজারের গোডাউনগুলোতে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দারা এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে তৎপর। তারা সতর্কতা জারি করেছে, যাতে সস্তা কিন্তু ক্ষতিকর আবিরের বিপণন বন্ধ করা যায় এবং দোল ও হোলির উৎসবের সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়।
আবির কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা
গোয়েন্দারা সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন, দোল বা হোলির সময় খোলামেলা বাজার থেকে আবির কেনার সময় সতর্ক থাকুন এবং ভালো মানের পণ্যই কিনুন।