পোর্ট লুইস: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার মরিশাস সফরে গিয়ে দেশটির বিহারি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং বিহারের ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার জন্য গভীর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে, বিহারের জনপ্রিয় খাদ্য মাখনা (ফক্স নট) নিয়ে তাঁর মন্তব্যে উপস্থিত জনতার মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। তিনি বলেন, “আজকাল সবাই বিহারের মাখনার কথা বলছে। সেই দিন আর দূরে নয়, যখন মাখনা পৃথিবীজুড়ে খাদ্য তালিকায় স্থান পাবে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভাষণ দেওয়ার সময় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে যান भोजपुरी ভাষার দিকে, “সবাই কি ভালো আছেন? আজ আমি এখানে এসে খুব খুশি।” এই মধুর ভাষণ শ্রোতাদের মধ্যে উল্লাসের সৃষ্টি করে।
নলন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, “যখন বিশ্বের অধিকাংশ অংশ শিক্ষার ছোঁয়া পায়নি, তখন বিহারে, ভারতের নলন্দায় বিশ্বের এক শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। আমাদের সরকার আবার সেই নলন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নলন্দার স্পিরিট পুনরুজ্জীবিত করেছে।”
মরিশাসের বৈচিত্র্যময় সমাজকে “মিনি ইন্ডিয়া” হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এখানে আমাদের পূর্বপুরুষরা বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন অংশ থেকে এসে বসবাস করেছেন। মরিশাসে ভারতীয় সংস্কৃতির একটি জীবন্ত প্রতীক রয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “মরিশাসের অধিকাংশ জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে বলিউডের গান শুটিং হয়েছে, এবং এমন কোনো কোণা নেই যেখানে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ছাপ পড়েনি।”
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরের সময় মরিশাসে মহাকুম্ভের পবিত্র সঙ্গম জল নিয়ে আসেন, যা তিনি বিশেষভাবে মরিশাসের মানুষের জন্য নিয়ে এসেছেন। “অনেকেই মহাকুম্ভে অংশ নিতে পারেননি, আমি তাঁদের অনুভূতি বুঝি। তাই আমি মহাকুম্ভের পবিত্র জল নিয়ে এসেছি, যাতে এটি মরিশাসের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ঐক্যের লক্ষ্যে ভূমিকা রাখতে পারে,” বলেন তিনি।
মরিশাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগমন উপলক্ষে এক উজ্জ্বল ‘বিহারি স্বাগতম’ পালিত হয়, যেখানে বিহারি ‘গীত গাওয়াই’ গানের মাধ্যমে তাঁকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে ভারত ও মরিশাসের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে নতুন দিগন্তের সন্ধান এবং সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।