ঢাকা: বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্দরে অশান্তি। পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশ করে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এই খবর হাতে আসতেই দেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজুর রহমানকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তিনি সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে (Army Chief) তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে সামিল হয়েছিলেন ফয়জুর৷ তিনি গোপনে কয়েকটি বৈঠকের আয়োজনও করেছিলেন৷ যাতে তিনি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছিলেন। তবে এসব বৈঠকে তিনি তেমন কোনো সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। মার্চের প্রথম সপ্তাহে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনাল কমান্ডারদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন, কিন্তু সেনাবাহিনীর প্রধানের অফিস এই বৈঠকের খবর পেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেয়। এর ফলে বৈঠক থেকে অনেকেই সরে যান।
এছাড়া, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ফইজুর রহমান জামাত নেতাদের ও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠক করেন। যখন এসব বৈঠকের খবর সেনাবাহিনীর শীর্ষ মহলে পৌঁছায়, তখন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে, যেখানে গত কয়েক মাসে সহিংস বিক্ষোভ, ভাঙচুর এবং দাঙ্গার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পরিবারের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ চালানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামরিক অঙ্গনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, এবং দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।