Abu Azmi Daughter-in-Law: সমাজবাদী বিধায়কের পুত্রবধূর বড় পদক্ষেপ, গোয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী

সলমন খানের ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে এক সুন্দরী অভিনেত্রী সকলের মন জয় করেছিলেন। তিনি আর কেউ নন, আয়েশা টাকিয়া (Ayesha Takia)। ‘টারজান’ দিয়ে তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু…

sp-mla-abu-azmi-daughter-in-law-ayesha-takia-deactivates-instagram-goa-scandal

short-samachar

সলমন খানের ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে এক সুন্দরী অভিনেত্রী সকলের মন জয় করেছিলেন। তিনি আর কেউ নন, আয়েশা টাকিয়া (Ayesha Takia)। ‘টারজান’ দিয়ে তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে দূরে থাকলেও আয়েশা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন। তিনি প্রতিদিন তার জীবনের আনন্দের মুহূর্তগুলো ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিষয়ে সাহসের সঙ্গে মতামত প্রকাশ করতেন। কিন্তু গত সপ্তাহে আয়েশা আবারও খবরে এসেছেন। তিনি তার স্বামী ফারহান আজমির পক্ষে লড়তে গিয়ে। অভিনেত্রী তীব্র ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এর পর তিনি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

   

গত সোমবার গোয়া পুলিশ ফারহান আজমির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিম এলাকায় তিনি বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেছেন। এই ঘটনার পর আয়েশা (Ayesha Takia) একাধিক পোস্টের মাধ্যমে স্বামীর পক্ষে কথা বলেন। তিনি বেশ কয়েকটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেন, তার স্বামী এবং ছেলেকে হয়রানি করা হয়েছে।

আয়েশা (Ayesha Takia) বলেন, “দুই মহিলা আমার স্বামীর উপর আক্রমণ করেছিল এবং আমার ছেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিল। গোয়ায় মুম্বইয়ের মানুষের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে, আর আমার স্বামী এর শিকার হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, ফারহানই পুলিশকে ডেকেছিলেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি করেন।

এই পোস্টগুলোর পরেও আয়েশাকে তীব্র ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হয়। অনেকে এই ঘটনাকে তার শ্বশুর সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমির (Abu Azmi) ঔরঙ্গজেব-সংক্রান্ত বক্তব্যের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। ট্রোলাররা তার ব্যক্তিগত জীবন এবং স্বামীর ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে থাকে। এরপরই আয়েশা তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেন। ‘আয়েশা টাকিয়া আজমি’ এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অ্যাকাউন্ট খুঁজলে শুধু লেখা আসে, “দুঃখিত, এই পৃষ্ঠাটি উপলব্ধ নয়।”

আয়েশা (Ayesha Takia) কেন এমন পদক্ষেপ নিলেন, তা নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ট্রোলিংকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তিনি যখন স্বামীর পক্ষে কথা বলছিলেন, তখন অনেকে তার বক্তব্যকে অতিরঞ্জিত বলে সমালোচনা করেন। এই চাপ সামলাতে না পেরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আয়েশা টাকিয়া (Ayesha Takia) একসময় বলিউডে তার সৌন্দর্য ও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন। ‘ওয়ান্টেড’ ছাড়াও ‘সোর্স ফর সরি’, ‘দোর’ এর মতো ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। তবে বিয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে চলে যান। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।