Ghatal Masterplan: সেতু দিয়ে খাল জয়, মাস্টারপ্ল্যানের দিন গুণছে সময়

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল দীর্ঘদিন ধরে বন্যায় ভাসে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের প্রতিশ্রুতি বারবার শোনা গেলেও বাস্তবে রূপ নেয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা…

State Government Seeks Two Years to Resolve Ghatal Water Issues

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল দীর্ঘদিন ধরে বন্যায় ভাসে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের প্রতিশ্রুতি বারবার শোনা গেলেও বাস্তবে রূপ নেয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন। অবশেষে সেই পরিকল্পনা এগোলো। দাসপুরে পাঁচটি কংক্রিট সেতু নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। তবে বিরোধীরা কটাক্ষে পিছপা না হয়ে বলেছে, “এটা টাকা চুরির মাস্টারপ্ল্যান।”

১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দাসপুর দু’নম্বর ব্লকে এই সেতুগুলি নির্মিত হবে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে চন্দ্রেশ্বর ও পলাশপাই খালের ওপর এগুলি তৈরি হবে। রানিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিঅযোধ্যা, বিনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূঁইয়াড়া, সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়চক এবং জ্যোতঘনশ্যাম গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সেতু নির্মাণ হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে—এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা।

   

দাসপুর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, এই ব্লকে ১৫টি সেতুর প্রস্তাব ছিল, যার মধ্যে ৫টি অনুমোদিত হয়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত এলাকায় কংক্রিট সেতু নির্মাণে স্থানীয়রা উচ্ছ্বসিত। তাঁরা মনে করেন, এই সেতু বন্যার সময় যোগাযোগ বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

Advertisements

তবে কাজ শুরুর আগেই বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, এই প্রকল্প জনকল্যাণের জন্য নয়, তহবিল লুটের ছক। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা আশায় বুক বেঁধেছেন। তাঁদের বিশ্বাস, মাস্টারপ্ল্যান পুরোপুরি কার্যকর হলে ঘাটালের বন্যা সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।