ত্রিপুরায় ফ্রন্টিয়ারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Border Security Force) ৬ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২৯ জন বাংলাদেশি এবং সাতজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা ত্রিপুরার লঙ্কামুড়া (এয়ারপোর্ট থানা), নিশ্চিন্তপুর (আমতলি থানা), হরনাখোলা (মোহনপুর থানা), আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন (পশ্চিম ত্রিপুরা), চুরাইবাড়ি ও ধর্মনগর রেলওয়ে স্টেশন (উত্তর ত্রিপুরা), সাবরুম (দক্ষিণ ত্রিপুরা) এবং এল কে পাড়া (গোমতি জেলা) সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরা পড়েছে।
বিএসএফ (Border Security Force) জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয়দের সমস্যা সমাধানে তারা নয়টির বেশি গ্রাম সমন্বয় সভা করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাচার ও অপরাধ রোধে বিএসএফ আরও বেশি তৎপর রয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে একযোগে অভিযান চালিয়ে, ২.৮৮ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ২৮০.৬৭ কিলোগ্রাম গাঁজা, গবাদি পশু, চাল এবং অন্যান্য একাধিক দ্রব্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BGB)-এর সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে বিএসএফ ৬১টি একযোগে টহলদারি এবং একাধিক সীমান্ত সভা করেছে। এই পদক্ষেপগুলো সীমান্তে অপরাধ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অভিযুক্ত বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টায় ছিল, এবং ভারতীয় দালালরা তাদের সহায়তা করছিল। বিএসএফ জানিয়েছে, তাঁরা এই ধরনের কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রেখে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে সভার মাধ্যমে বিএসএফ সীমান্ত গ্রামগুলোর সমস্যা বুঝতে এবং সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করছে। এতে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্তে শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এক বিএসএফ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা শুধু অনুপ্রবেশ নয়, পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধেও লড়ছি।”
এই অভিযানে ২.৮৮ কোটি টাকার সামগ্রী রুখে দেওয়া বিএসএফ-এর সাফল্যের প্রমাণ। ভবিষ্যতেও এই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ চলবে বলে তাঁরা জানিয়েছে। ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিএসএফ-এর এই তৎপরতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।