North Korea Nuclear Submarine: উত্তর কোরিয়া বিশ্বকে তার প্রথম পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের আভাস দেখিয়েছে, যা আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সাবমেরিনের জলের নীচে থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। এতে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। সরকারি মিডিয়া তার ছবি প্রকাশ করেছে এবং এটিকে ‘কৌশলগত গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন’ বলে অভিহিত করেছে।
সমুদ্র থেকে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই সাবমেরিনটি 6000 থেকে 7000 টন ওজনের এবং প্রায় 10টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘স্ট্র্যাটেজিক গাইডেড মিসাইল’ শব্দটি ইঙ্গিত দেয় যে এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে। কিম জং উন 2021 সালে একটি সামরিক সম্মেলনের সময় একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন। এখন এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
রাশিয়া থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য?
কড়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া কীভাবে এত উন্নত প্রযুক্তি অর্জন করল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে থাকতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও সেনা সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। বিনিময়ে সাবমেরিনের জন্য পারমাণবিক রিয়েক্টর প্রযুক্তি পেতে পারে। যদিও এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার নৌশক্তি
উত্তর কোরিয়ার বর্তমানে 70 থেকে 90টি প্রচলিত ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন রয়েছে, তবে তারা পুরনো প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এবং শুধুমাত্র টর্পেডো এবং মাইন চালু করতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়া 2023 সালে একটি পারমাণবিক হামলার সাবমেরিন লঞ্চ করার দাবি করেছিল, তবে বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি পরিবর্তিত ডিজেল সাবমেরিন বলে বর্ণনা করেছেন। নতুন সাবমেরিন নির্মাণ উত্তর কোরিয়ার সামুদ্রিক সামরিক শক্তিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।