সিগন্যালে ত্রুটি ও ট্রেন (Local Train) বাতিলের কারণে শনিবার সকাল থেকে শিয়ালদহ শাখায় ফের ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দমদমে তিন নম্বর আপ লাইনে সিগন্যালিং প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেওয়ায়, ট্রেন চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এদিন সকাল ৮টা বেজে ৫৮ মিনিটে সিগন্যালে ক্রটি ধরা পড়ে, যার ফলে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ম্যানুয়ালি সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এর ফলে বেশ কয়েকটি ট্রেন লাইনের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। বেশ কিছু ট্রেন সঠিক সময়ে চলতে না পারায় অফিসযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, এই সমস্যা বিশেষ করে পিক টাইমে এসে চরম আকার ধারণ করে। সকালবেলা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য যারা ট্রেন ধরতে আসেন, তারা ছিলেন সবচেয়ে বেশি বিপদে। অনেকেই দেরী করে অফিস পৌঁছাতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, কিছু স্টেশনে একাধিক লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিগন্যালের সমস্যা ঠিক করতে ইঞ্জিনিয়ররা দ্রুত কাজ শুরু করেন। তবে তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। প্রায় এক ঘণ্টা পর, সকাল ৯টা বেজে ৫৬ মিনিটে কিছুটা স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। তবে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই, কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিগন্যালের ত্রুটি ঘটল।
সাধারণ মানুষের মধ্যে, এই ধরনের ত্রুটি এবং সমস্যাগুলোর পুনরাবৃত্তি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রশ্ন উঠছে। বিগত কয়েক মাস ধরে হাওড়া ও শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলোতে ক্রমাগত ট্রেন বাতিল বা দেরীতে চলার ঘটনা ঘটছে। একে একে সিগন্যালের সমস্যা, ওভারহেডের কাজ ইত্যাদি কারণে যাত্রীদের যাত্রা প্রতিদিনই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে, যাত্রীদের দাবি, রেলের সামগ্রিক পরিকাঠামো এবং সিগন্যালিং সিস্টেমের আধুনিকীকরণ অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সিগন্যালিং সিস্টেমকে আরও উন্নত করা না হলে, এই ধরনের সমস্যা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে পিক টাইমে, এমন সমস্যা তাদের জন্য চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করে।
যাত্রীদের মতে, রেলের দায়িত্ব শুধু ট্রেন চালানো নয়, বরং নিরাপত্তা এবং সময়মতো পরিষেবা দেওয়াও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করেন, এভাবে ট্রেনের সঠিক সময়ে না চলা বা একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা, এই সমস্ত সমস্যার কারণে যাত্রীদের সময়ের মূল্য হারায় এবং কর্মজীবনে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।