NASA Chandrayaan-3: ল্যান্ডার বিক্রমের ইতিহাস ফিরল NASA-এর চন্দ্রযানে, চাঁদে পৌঁছবে নাসার প্রোব?

চাঁদে জলের বরফের মানচিত্র তৈরির জন্য নাসার পাঠানো ছোট স্যাটেলাইট ‘লুনার ট্রেইলব্লেজার’ উৎক্ষেপণের পর থেকে গুরুতর প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখে পড়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি উৎক্ষেপিত এই মহাকাশযানটি…

nasa-lunar-trailblazer-power-loss-communication-issues

short-samachar

চাঁদে জলের বরফের মানচিত্র তৈরির জন্য নাসার পাঠানো ছোট স্যাটেলাইট ‘লুনার ট্রেইলব্লেজার’ উৎক্ষেপণের পর থেকে গুরুতর প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখে পড়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি উৎক্ষেপিত এই মহাকাশযানটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে এবং এর শক্তি দ্রুত কমছে। নাসা ও ক্যালটেকের নেতৃত্বাধীন এই মিশনে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে ধীরে ঘুরছে, ফলে সৌর প্যানেল থেকে পর্যাপ্ত শক্তি পাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চললেও কোনো সংকেত মেলেনি।

   

মিশনের অবস্থা ও উদ্ধার প্রচেষ্টা:

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL) জানায়, ২ মার্চ রাডার তথ্যে দেখা গেছে, লুনার ট্রেইলব্লেজার কম শক্তিতে রয়েছে। ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এর অবস্থান নির্ধারণে কাজ করছে। উৎক্ষেপণের পর ট্র্যাজেক্টরি সংশোধন সম্ভব হয়নি, যা চন্দ্র কক্ষপথে পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি। যোগাযোগ ফিরলে মিশন বাঁচাতে বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।

প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঝুঁকি:

নাসার SIMPLEx প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই মিশন কম খরচে বেশি ঝুঁকি নিয়ে তৈরি। লকহিড মার্টিনের নির্মিত ২০০ কিলোগ্রামের এই স্যাটেলাইট প্রতিফলিত আলোর মাধ্যমে জলের বরফ শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। ক্যালটেক মিশন পরিচালনা করছে, এবং লকহিড মার্টিন প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। উৎক্ষেপণের পরপরই এটির শক্তির সমস্যা দেখা দেয় এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। একটি সংক্ষিপ্ত সংকেত পাওয়া গেলেও তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত আর কিছু মেলেনি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

উদ্ধারের সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত। স্যাটেলাইটের অবস্থান পরিবর্তনে শক্তি বাড়লে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হবে। নাসা ও এর সহযোগীরা সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বিকল্প পথ সংশোধনের পরিকল্পনা করছে। ৯৪.১ মিলিয়ন ডলারের এই মিশনের সাফল্য এখন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার উপর নির্ভর করছে।