প্রাথমিক মামলায় এ বার জামিন পেলেন অয়ন, তবে এখনই জেলমুক্তি নয়

কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় এবার জামিন পেলেন অয়ন শীল। এর আগে ইডির মামলাতেও তিনি জামিন পেয়েছিলেন। তবে, এখনই তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না। পুর…

short-samachar

কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় এবার জামিন পেলেন অয়ন শীল। এর আগে ইডির মামলাতেও তিনি জামিন পেয়েছিলেন। তবে, এখনই তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে চারদেওয়ালের অন্দরেই থাকতে হবে।

   

সিবিআই এবং ইডি, উভয় সংস্থার হাতেই গ্রেফতার হন অয়ন৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাওয়া সত্ত্বেও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই মামলায়, তদন্তকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন যে, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে।

শুক্রবার কলকাতার বিচারভবনে অয়ন শীলের মামলার শুনানি হয়। এক লক্ষ টাকার বন্ড এবং কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। এটি ছিল প্রাথমিক মামলায় পঞ্চম জামিন। এর আগে, নীলাদ্রি দাস, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ-সহ বেশ কিছু অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও অন্তর্বর্তী জামিনে জেলের বইরে রয়েছেন।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রথমে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে, একই মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। অভিযোগ, অয়ন শীল ৮ জন এজেন্টের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। ওই টাকা চলে যায় অপর অভিযুক্ত সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। অয়ন শীল ইমেলের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা সন্তুকে পাঠিয়েছিলেন, পরে সেই তালিকা কুন্তল ঘোষের কাছে পৌঁছায়।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে পুর নিয়োগ দুর্নীতি ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসে। অয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে, অয়নকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলাদাভাবে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে অয়ন শীল প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন। সিবিআইয়ের দাবি, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে এবং মোট ১,৮২৯ জনকে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সময় ইডি একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান পায়, যা দুর্নীতির কারবারে ব্যবহৃত হতো। এই গ্রুপের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নাম জমা পড়ে এবং পুর কর্তৃপক্ষ তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করত। তদন্তকারীদের মতে, অয়নের বাড়ি ও অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু সাঙ্কেতিক শব্দের মাধ্যমে একাধিক মন্ত্রীও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।

তদন্তকারীরা বর্তমানে এসব অভিযোগের গভীর তদন্ত চালাচ্ছেন এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতির আরও খুঁটিনাটি বের করার চেষ্টা করছেন।