উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, অযোধ্যা এবং প্রয়াগরাজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পর এখন মথুরা ও বৃন্দাবনকে পুনরুজ্জীবিত করার পালা এসেছে, এবং রাজ্য সরকার এই অঞ্চলের উন্নয়নে কোনো ত্রুটি রাখবে না। তিনি শুক্রবার মথুরার বরসানা অঞ্চলে শ্রী রাধা বিহারি ইন্টার কলেজে প্রার্থনা নিবেদন করার পর, রঙোৎসব ২০২৫ উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “যারা বরসানায় আসছেন, তারা প্রথমবারের মতো রোপওয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। ১০০ কোটি টাকা মূল্যের উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কাশী নতুন করে সাজানো হয়েছে, অযোধ্যা ও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এখন মথুরা, বৃন্দাবন, বরসানা এবং গোবর্ধনকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এই অঞ্চলের উন্নয়নে কোনো প্রকার অবহেলা হবে না। এখন দিল্লিতে বিজেপি সরকার রয়েছে এবং যমুনা নদী পরিষ্কার করা হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে হোলির আগাম শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, “মহাশিবরাত্রিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাশী পরিদর্শন করেছেন। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়, যা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সনাতন ধর্মের ঐক্য এবং সমাবেশ বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান হয়েছে। অনেকেই সনাতন ধর্ম সম্পর্কে গুজব ছড়ালেও, ভক্তরা তাদের ভুল প্রমাণ করেছেন। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে, উত্তর প্রদেশের মাটিতেই শ্রী রাম এবং শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান।” তিনি আরও বলেন, যারা মহাকুম্ভ এবং অযোধ্যা পরিদর্শন করেছেন এবং এখন বরসানায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই অঞ্চলে করা উন্নয়ন কার্যক্রমের স্বাক্ষী হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “হোলি হচ্ছে একতা এবং প্রীতি উৎসব। মহাকুম্ভের বার্তা হোলি আরও শক্তিশালী করে তুলে। ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ সব সমস্যা সমাধান করবে।”
এদিকে, বরসানায় শুক্রবার বিখ্যাত লাডু হোলি উৎসব আয়োজন করা হয়, যেখানে ভক্তরা দানে ও নাচে মেতে ওঠেন। নন্দগাঁওতে ‘সখী’ এবং ভক্তরা গুলাল নিয়ে নাচ-গান করেন এবং উৎসব উদযাপন করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং হোলির মহোৎসব এক নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা আগামী দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও প্রভাবিত করবে।