আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নারী দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গুজরাতে ৮ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানে নারীদের বিশেষভাবে সম্মান জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করবেন শুধুমাত্র মহিলা পুলিশকর্মীরা।
আগামীকাল, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পৃথিবীজুড়ে নারীর শক্তি এবং সাহসিকতাকে স্বীকৃতি দিতে এই দিনটি পালন করা হয়। নারী দিবসের উদ্দেশ্য হলো মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সম্মান বাড়ানো। প্রতি বছর এই দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয় এবং সমাজে নারীদের অবদানকে চিহ্নিত করা হয়। পৃথিবীর সব প্রান্তেই এই দিনটিতে নারীদের সম্মানার্থে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের উদ্যোগ দেশে প্রথমবারের মত হতে চলেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি জানিয়েছেন, গুজরাত পুলিশ এই বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগ ভারতীয় ইতিহাসের এক অনন্য মুহূর্ত হবে।’ নারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে আরও সামনে আনা হচ্ছে।
এদিন, গুজরাতের নভসারি জেলায় ‘লাখপতি দিদি’ নামে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য ২,১৬৫ জন মহিলা কনস্টেবল, ১৮৭ জন মহিলা পিআই, ৬১ জন মহিলা পিএসআই, ১৯ জন মহিলা ডিওয়াইএসপি, ৫ জন মহিলা ডিএসপি, ১ জন মহিলা আইজিপি এবং ১ জন মহিলা এডিজিপি নিরাপত্তা তদারকি করবেন।
এটি শুধু একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নয় বরং এটি নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের সামাজিক সাফল্যের উদযাপনও। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পদক্ষেপ নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের শক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ১.১ লক্ষেরও বেশি মহিলা, যা এক ঐতিহাসিক সমাবেশে পরিণত হবে।
এর আগে, মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াতে সফল নারীদের মঞ্চ দেওয়া শুরু করেছিলেন। ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মোদী তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কিছু সফল নারীদের হাতে তুলে দেবেন। তারা তাদের কাজ এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, যাতে আরও নারীরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।
মোদি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুধু একটি দিন নয়, এটি নারীদের সংগ্রাম, অর্জন এবং স্বীকৃতির প্রতীক। আমাদের সংস্কৃতিতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মাতৃশক্তি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সংবিধান রচনায়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’