বুধবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের (AFC Challenge League Quarter Final) ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। প্রতিপক্ষ ছিল তুর্কমেনিস্তানের আর্কাদাগ (FK Arkadag)। প্রথম পর্বের ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই তুর্কমেনিস্তানে যাত্রা করবে মশাল ব্রিগেড। এদিন ঘরের মাঠেই ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন লাল-হলুদ সমর্থকরা (East Bengal FC Supporters)।
আইএসএল এবং এএফসির টুর্নামেন্টে দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে সমর্থকদের চোখে জল। আইএসএল প্লে অফে বিদায় নেওয়ার পর এএফসিতে আরেকটি হার। এরই মাঝে সমর্থকরা তাদের ক্ষোভ মেটাতে স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হন। চোখে জল আর গলায় অশ্রু নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। কেউ কেউ কাঁদতে কাঁদতে, চিৎকার করে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেন। এই ক্ষোভের মঞ্চে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি।
সমর্থকদের এই বিক্ষোভের পর, লাল-হলুদ শিবিরের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার নিজেই প্রকাশ্যে তাদের হতাশার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমি একজন সমর্থকও বটে, আমিও খুব হতাশ। আমারও কান্না পাচ্ছে। তবে আমরা যা করতে পারি, তা করতে চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “যে খেলোয়াড়দের নিয়ে আশা ছিল, তাদের মধ্যে দিমি অন্যতম। গতবার আইএসএলের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারকে আমরা নিয়েছিলাম, তবে তার পারফরম্যান্সের অভাব হতাশাজনক। দলের পারফরম্যান্স কেমন হবে, সেটা কোচের হাতে থাকে। কোচ যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী দল চলবে। কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমর্থকরা কষ্ট পাচ্ছেন এবং আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে।”
এদিকে, দলের কোচ অস্কার ব্রুজো, যিনি নিজে এক কঠিন সময় পার করছেন, তবুও আশাবাদী। পরাজয়ের পরও তিনি দলের আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ নিয়ে আশাবাদী হয়ে বলেন, “এটা সেই ফলাফল নয় যা আমরা চেয়েছিলাম, তবে এর মধ্যে কিছু আশাব্যঞ্জক দিক রয়েছে। আমাদের এখনো ৯০ মিনিট সময় আছে।” তার কথায়, হাল ছাড়ার কোনো প্রশ্নই নেই। বিশেষ করে, এক মাত্র গোলের ব্যবধানে হারের পরও তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে, দ্বিতীয় লেগে ভালো ফল আসতে পারে। তিনি বলেন, “আমাদের এখনও আশা রয়েছে। তবে আমাদের প্রথম থেকেই গোল করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে কোনোভাবেই এই ম্যাচটি আমাদের পক্ষে আসবে না।”
অস্কার ব্রুজো, যদিও দলের পরাজয় নিয়ে হতাশ, তবুও তার চোখে সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানিয়ে দেন যে, তাদের লক্ষ্য এখন শুধু একটাই প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা। সেই সাথে তিনি জানিয়ে দেন, যে দল যখন হারে, তখন সমর্থকদের কষ্ট স্বাভাবিক। তাই কোচ জো এবং কর্তৃপক্ষের চেষ্টা যেন দলের পুনরুত্থান ঘটায়, এই আশায় রয়েছেন দলের অনুগত সমর্থকরা।