বাঘাযতীনে সিপিএম পার্টি অফিসে হামলা (CPIM vs TMC) চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। সিপিএমের দাবি, এই হামলা চালিয়েছে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। অভিযোগ উঠেছে, শঙ্কর পাল নামক তৃণমূল কর্মী বাম মহিলা কর্মীদের মারধর, শ্লীলতাহানি এবং ছিনতাই করেছে। এই ঘটনায় সিপিএম নেতারা নেতাজি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটে বাঘাযতীন আই ব্লকে, যেখানে ছাত্র-যুবদের একটি বিক্ষোভ চলছিল। সিপিএমের দাবি, তখনই ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শঙ্কর পালসহ অন্যান্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মহিলাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এবং তাদের ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আই ব্লক মোড়ে পার্টি আফিস রয়েছে। সেখানেই ছাত্র যুবরা যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল করছিল। সেখানেই তৃণমূলের ছেলে গুণ্ডারা আক্রমণ করে। দুটি বাচ্চা মেয়ে আহত হয়। তারপর তৃণমূল কাউন্সিলর, শুধু কাউন্সিলর নয়, হেলে পড়া বাড়ির কাউন্সিলর যাঁর কাটমানি খেয়ে খেয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছে। তিনি সিপিএম-এর পার্টি অফিসের সামনে এসে আমাদের পতাকা ছেড়ার চেষ্টা করেন। গালিগালাজ করেন। এরপর সেখানে আমারদের লোকেরা রুখে দাঁড়ালে ওরা চলে যায়। আমি খবর পেয়ে নেতাজি নগর থানায় যাই।’
তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘SFI ও DYFI-এর লোকেরা আমার গাড়িটাকে ধাক্কা মারে। সেই সময় আমাদের কয়েকটি ছেলে ওদের গিয়ে প্রশ্ন করে তোমরা এটা করছ কেন? প্রতিবাদে আমাদের ছেলেরা ওদের কাগজের কতগুলো রিং ছিল সেগুলো খুলে দিয়েছে। আর পার্টি অফিস ভাঙচুর যাদবপুর ও বাঘাযতীনের সংস্কৃতি নয়। যাদবপুর অত্যন্ত শান্ত জায়গা। সেখানে আমরা সিপিএম-এর এক সময় অত্যাচার দেখেছি। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে ঠান্ডা হয়ে যায়। এই প্রথম দেখছি যাদবপুর ইউনিভার্টিকে কেন্দ্র করে একটা নতুন নাটক চলছে।’
এ ঘটনায় তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে তীব্র অশান্তি এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের কর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সিপিএমের প্রতিবাদ কর্মীদের ভীতি দেখানো এবং সিপিএমের পার্টি অফিসকে আক্রমণ করা। মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তৃণমূল কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন এবং সিপিএম কর্মীদের অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
এই হামলা এবং প্রতিক্রিয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সিপিএমের তরফ থেকে অভিযোগ, তৃণমূল তাদের রাজনীতিতে ‘গুন্ডাগিরি’ চালাচ্ছে এবং যাদবপুরের মতো এলাকায় শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করছে না। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, সিপিএম তাদের প্রতি অনাকাঙ্খিত আক্রমণ করেছে এবং তার পরিণতি হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে।