সময় বেঁধেছে ছাত্ররা! বাড়ছে মানসিক চাপ! হাসপাতালে ভর্তি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি৷ বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাঁর স্ত্রী, পেশায় চিকিৎসক কেয়া গুপ্ত জানান,…

short-samachar

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি৷ বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাঁর স্ত্রী, পেশায় চিকিৎসক কেয়া গুপ্ত জানান, উপাচার্যের রক্তচাপ ওঠানামা করছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ সেখানে নিউরোলজিস্ট এবং কার্ডিওলজিস্টরা তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করছেন।

   

মানসিক চাপের কারণে শারীরিক অসুস্থতা
কেয়া গুপ্ত আরও বলেন, “প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণে তাঁর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। ভোররাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়৷ তাই দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।” ২০১৫ সালে একবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাতদিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ভাস্কর গুপ্ত৷ এবারেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা
এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিকেল ৪টার মধ্যে সময় বেঁধে দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করলে বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। তবে, উপাচার্যের শারীরিক অবস্থার কারণে বৈঠক হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, উপাচার্য যদি শারীরিকভাবে সক্ষম না হন, তবে তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

শারীরিক অবস্থা এবং আন্দোলনের চাপ
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়৷ ওই সভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থা করা হয় এবং উপাচার্যকেও শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর ফলস্বরূপ, উপাচার্যের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। কিছু মহল বলছে, উপাচার্য সম্ভবত আন্দোলন এড়াতে হাসপাতালের আশ্রয় নিচ্ছেন, অন্যদিকে অনেকেই মনে করছেন, এই পরিস্থিতি মানসিক চাপের ফলস্বরূপ।

আজ বিকেল ৪টা: পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর
বর্তমানে উপাচার্যের চিকিৎসা চলছে, তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিস্থিতিতে, আজ বিকেল ৪টার পর আন্দোলনকারীরা কী পদক্ষেপ নেবেন, সেটাই দেখার বিষয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন আরও জটিল এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে।