ট্যাংরার স্মৃতি উস্কে দিল কসবা! স্বামী, স্ত্রী, শিশুসন্তানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

আবারও এক পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধল খাস কলকাতায়। মঙ্গলবার কসবার হালতুর পূর্বপল্লী এলাকার একটি বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের…

short-samachar

আবারও এক পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধল খাস কলকাতায়। মঙ্গলবার কসবার হালতুর পূর্বপল্লী এলাকার একটি বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের আড়াই বছরের পুত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কসবা থানার অন্তর্গত হালতুর পূর্বপল্লী এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাড়িতে বছর ৪০-এর সোমনাথ রায়, তাঁর ৩৫ বছরের স্ত্রী সুমিত্রা রায় এবং তাঁদের আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রনীল রায় থাকতেন। ঘরের ভিতরে  তিনজনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু ওই নোটে কী লেখা আছে, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গেছে, সোমনাথ সম্ভবত আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং সেই চাপে তিনি পরিবারসহ আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে, এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এছাড়া, পুলিশের তদন্তে একজন আত্মীয় দাবি করেছেন, সোমনাথের সঙ্গে একটি পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। ওই আত্মীয়ের দাবি, ওই অশান্তির কারণে এই মৃত্যু ঘটতে পারে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলছে।

এদিকে, এই ঘটনাটি কলকাতায় একের পর এক রহস্যজনক মৃত্যুর মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ট্যাংরার অটল শূর রোডের একটি বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দে পরিবারের দুই বধূ রোমি, সুদেষ্ণা এবং কিশোরী প্রিয়ম্বদাকে খুন করা হয়েছিল, বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়। এরপর ওই দিনই বাইপাসের ধারে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন দে পরিবারের দুই ভাই প্রণয়, প্রসূন এবং প্রতীপ। পুলিশ তদন্তে জানায়, প্রসূনই ওই তিনজনকে খুন করেছিলেন। সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

কলকাতায় একের পর এক এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ আরও গভীরভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং দ্রুত সঠিক কারণ উদঘাটন করতে কাজ করছে।