কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর সোমবার কেরলে ক্রমবর্ধমান মাদক সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই সমস্যা মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। মাদকের উৎস চিহ্নিত করা এবং সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
থারুর বলেন, “কেরলে মাদক সমস্যা এখন অত্যন্ত গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমি এটি সংসদে উত্থাপন করেছি, কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পাইনি। কেরলে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সব ধর্ম ও রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা দরকার। রাজ্য সরকারের কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে মাদকের উৎস খুঁজে বের করতে হবে।”
থারুর এই সমস্যা সমাধানে বহুমুখী পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি কেরলে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন এবং সব ধর্ম ও রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ সচেতনতা প্রচারের কথা বলেছেন। তিনি জনগণের কাছে মাদকের অপব্যবহারের ঘটনা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে ছাত্ররা মাদক সেবন করে, তাদের বন্ধুদের এগিয়ে আসতে হবে। ভুল কাজ লুকিয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করা ঠিক নয়। শাস্তি পাওয়া উচিত সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের।”
থারুরের উদ্বেগ অমূলক নয়। কেরলে উচ্চ বেকারত্বের কারণে তরুণরা মাদকের দিকে ঝুঁকছে। তিনি বলেন, “উচ্চ বেকারত্বের কারণে তরুণদের মধ্যে মাদকের প্রলোভন বাড়ছে, যার পরিণতি ভয়াবহ।” কেরলের সবুজ প্রকৃতি ও শান্ত জলাশয়ের মধ্যে মাদকের এই কালো ছায়া ক্রমশ বড় হচ্ছে। রাজ্যের মনোরম সৌন্দর্যের আড়ালে তরুণদের মাদকাসক্তির কঠোর বাস্তবতা উঠে আসছে।
থারুরের এই মন্তব্য কেরলে মাদক সমস্যার গভীরতা তুলে ধরেছে। তিনি সরকারি ও সামাজিক স্তরে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার পথ খুঁজছেন।