আগামী ২৯ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হতে চলেছে জগন্নাথ মন্দির। এই উদ্বোধন উপলক্ষে দিঘায় সাধারণভাবে পর্যটকদের ভিড় ব্যাপকভাবে বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে সৈকত এলাকার নিরাপত্তা, হোটেল ভাড়া, টোটো ভাড়া, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আলোর ব্যবস্থা সহ সকল পরিষেবা আরও উন্নত করতে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিঘাকে ১০টি জোনে ভাগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই জোনগুলোতে প্রতিটি জোনের জন্য আলাদা কর্মী দায়িত্বে থাকবেন, যারা স্থানীয় সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
বর্তমানে দিঘায় প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন, কিন্তু বিশেষ দিনগুলোতে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিশেষত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে যে বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসবে, তা সামাল দিতে এই জোনভিত্তিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
দিঘার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হোটেল এবং টোটো ভাড়া বৃদ্ধি করার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকদের কাছে শুনে আসছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় ভাড়া দ্বিগুণ বা তারও বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশেষত, পর্যটকদের ভিড় বেশি হলে হোটেল মালিক এবং টোটো চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। এই সমস্যা সমাধানে পুলিশ প্রশাসন এবং পর্ষদ একাধিকবার বৈঠক করেছে, তবে তাতে তেমন ফল হয়নি। এবার দিঘাকে ১০টি জোনে ভাগ করার ফলে এই ধরনের অভিযোগের দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিটি জোনে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন এবং পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়া হোটেল এবং টোটো ভাড়া নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা পর্ষদের ওয়েবসাইটে জমা দেওয়া যাবে।
এছাড়া দিঘায় ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও উন্নত করার জন্যও কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জোনভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে এবং পর্যটকরা আরও সুন্দরভাবে দিঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক অপূর্ব বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘দিঘাকে ১০টি জোনে ভাগ করার মাধ্যমে পরিষেবার মান বৃদ্ধি করা হবে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবে পর্ষদের কর্মীরা এবং যেকোনো সমস্যা সমাধান করার জন্য তারা প্রস্তুত থাকবে।’’
এই পদক্ষেপটি পর্যটকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং দিঘাকে আরও উন্নত ও সংগঠিত একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরবে।