Expensive Missiles in World: বিশ্বের অনেক দেশেই এমন বিপজ্জনক অস্ত্র রয়েছে, যার বৈশিষ্ট্য জানলে মানুষ অবাক হয়। নিজেদের রক্ষার জন্য সব দেশই নতুন ও আধুনিক ধরনের অস্ত্র ক্রয় বা তৈরি করে। এসব অস্ত্রের অনেকগুলোই এমন যে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। এগুলো এত দামী যে কিছু দেশ এগুলো কিনতেও লজ্জা পায়।
এগুলো সবচেয়ে দামি মিসাইল
বর্তমান যুগে প্রতিটি দেশের সেনাবাহিনীর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র একটি প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শত্রুদের লক্ষ্য করে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তারা অনেক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়। একটি একক ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরিত হয়, যা শত্রুর পক্ষে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব করে তোলে। এই কারণেই অন্যান্য অস্ত্রের তুলনায় ক্ষেপণাস্ত্রের দাম বেশি। আসুন, জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মিসাইল সম্পর্কে।
ট্রাইডেন্ট II (UGM-133 Trident II)
ট্রাইডেন্ট II একটি সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (SLBM)। এর পরিসীমা 12,000 কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি একই সাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে। জলের নীচ থেকে গোপনে হামলা করার ক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের। একটি মিসাইলের দাম 30.9 মিলিয়ন ডলার (প্রায় 258 কোটি টাকা)। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ) এবং যুক্তরাজ্যের (ইউকে) কাছে রয়েছে। এটি মার্কিন নৌবাহিনী এবং ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত হয়।
RIM-161 স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল 3 (SM-3)
RIM-161 স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল 3 একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ। এটি মহাকাশে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের (এক্সো-বায়ুমণ্ডলীয়) বাইরে ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানোর ক্ষমতা রাখে। এর পরিসীমা 2,500 কিলোমিটার পর্যন্ত, যখন এটি 1,000 কিলোমিটার উচ্চতায় যেতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের দাম 9-12 মিলিয়ন ডলার (প্রায় 75-100 কোটি টাকা)। এটি আমেরিকা তৈরি করেছে।
DF-41 (ডংফেং-41)
DF-41 একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM)। এর পরিসীমা 2,000 থেকে 15,000 কিমি। এই মিসাইল হাইপারসনিক গতিতে উড়ে। বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে 10টি পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। এতে রাডার এড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে। এই মিসাইলের দাম 20-25 মিলিয়ন ডলার (প্রায় 167-209 কোটি টাকা)। বিপজ্জনক এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছে রয়েছে।