নয়ডা ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্প, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ও KGP সংযোগে নতুন দিগন্ত

মণিপুর এবং আগ্রার মধ্যে যোগাযোগকে আরও সহজ এবং দ্রুততর করার জন্য যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের (KGP) সংযোগকারী নতুন ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পটি শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে…

noida-interchange-project-yamuna-expressway-kgp-connection-new-horizon

short-samachar

মণিপুর এবং আগ্রার মধ্যে যোগাযোগকে আরও সহজ এবং দ্রুততর করার জন্য যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের (KGP) সংযোগকারী নতুন ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পটি শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এটি জাগানপুর-আফজলপুর এলাকায় অবস্থিত হবে এবং এই প্রকল্পটি যাত্রার সময় ২০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে, যা বর্তমানে পারি চোক এবং কাসনা এলাকায় ব্যাপক যানজটের সমস্যার সমাধান করবে।

   

নয়ডা, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগকারী ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পটির নকশা এখন সম্পূর্ণ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) ইতিমধ্যেই জমি জরিপ সম্পন্ন করেছে এবং শীঘ্রই নির্মাণকাজ শুরু হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি এই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের শূন্য পয়েন্ট থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যগানপুর-আফজলপুর এলাকায় ইন্টারচেঞ্জটি স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য মোট ৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং কৃষকদের যেসব সমস্যা নির্মাণের পথে বাধা সৃষ্টি করছিল, সেগুলোর সমাধান করা হয়েছে।

বর্তমানে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে সরাসরি কোনো সংযোগ নেই। এর ফলে, যাত্রীরা যারা KGP থেকে আগ্রায় যাচ্ছেন, তাদের ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। এই সময়ে, পারি চোক এবং কাসনা এলাকায় ব্যাপক যানজটের সমস্যাও সৃষ্টি হয়, যা যাত্রীদের যাত্রা সময়কে বাড়িয়ে দেয়। নতুন ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে এই সব সমস্যার সমাধান হবে এবং যাত্রীরা সহজেই দুটি এক্সপ্রেসওয়ে সংযুক্ত করতে পারবেন।

এই ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পটি ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এবং এতে মোট আটটি লুপ থাকবে, যার মধ্যে ৪টি লুপ ওঠার জন্য এবং ৪টি লুপ নামার জন্য নির্ধারিত হবে। এর ফলে, যাত্রীদের যাত্রা সহজ এবং সুশৃঙ্খল হবে এবং যানজটের সমস্যা কমে যাবে।

এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। NHAI সূত্রে জানানো হয়েছে, ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে এবং এক বছরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ইন্টারচেঞ্জটি মণিপুর এবং আগ্রা সংযোগকারী যাত্রাপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং স্থানীয় জনগণের জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসবে।

যমুনা কর্তৃপক্ষের সিইও অরুণবীর সিংহ জানান, “NHAI ইতিমধ্যে ইন্টারচেঞ্জের নকশা প্রস্তুত করেছে। নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু হবে এবং এটি আগামী এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এর নির্মাণের ফলে স্থানীয় জনগণের জীবনে অনেক সুবিধা আসবে।”

এই ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের ফলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে দ্রুত এবং সহজ সংযোগ নিশ্চিত হবে। এর ফলে, আগ্রা যাওয়ার সময়ে যাত্রীদের ২০ কিলোমিটার কম যাত্রাপথ পাড়ি দিতে হবে, যা যাত্রার সময় এবং পরিবহন খরচ কমাবে। এছাড়া, পারি চোক এবং কাসনা এলাকার যানজটের সমস্যাও অনেকটা কমে যাবে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু রাজ্য সরকার এবং NHAI এর যৌথ প্রচেষ্টায় কৃষকদের সমস্যাগুলির সমাধান করা হয়েছে। এখন, প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে এবং এটি স্থানীয় জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা বয়ে আনবে।

এছাড়াও, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মণিপুর এবং আগ্রার মধ্যবর্তী অঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হবে, যা স্থানীয় ব্যবসা এবং শিল্পের জন্য উপকারী হবে।

নয়ডা ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পটি মণিপুর এবং আগ্রার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে একটি বড় পদক্ষেপ। NHAI এর মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে, স্থানীয় জনগণের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হবে। দ্রুত সময়ে নির্মাণের কাজ শেষ হলে, এই ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পটি নতুন যুগের সূচনা করবে।